Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে।
Thailand_Daycare_Centre
Thailand_Daycare_Centre

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পরে এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা (Thailand Daycare Shooting)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অবধি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। পালিয়েছে হামলাবাজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে থাইল্যান্ড পুলিশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।        

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের নং বুয়া লামফু অঞ্চলের একটি চাইল্ড সেন্টারে এই হামলা চলে। বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ব্যাংকক লাইসেন্স প্লেটসহ একটি সাদা পিকআপ গাড়িতে পালিয়ে যায়। গাড়ির নম্বর  ৪৯৯। পুলিশের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, কেউ যদি ওই নম্বরের পিকআপ ভ্যান দেখেন তাহলে যেন ১৯২ নম্বরে ফোন করে তা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩৪ জনকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত তার সন্তান ও স্ত্রীকেও গুলি করে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে আততায়ী। তবে এর পরেও ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন। 
 
সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, আততায়ী একজন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। 

আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় 'টক্কর' পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, অপরাধীকে খুঁজে বের করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে পুলিশকে। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশ,থাইল্যান্ডে লাইসেন্সকৃত বন্দুকের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানেও বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। 

ঠিক কী কারণে বন্দুকবাজের হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। কারণ গত কয়েকদিন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। আর এরপরেই এই ঘটনা। ফলে বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।  

এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার এক সেনা গুলি করে  ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles