মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের টেট পরীক্ষা (TET Scam) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ নির্দেশ দিয়েছেন যে ২০১৪ এবং ২০১৭-র অনুত্তীর্ণরা ফের টেট পরীক্ষা দিতে পারবেন। ২১ জন টেট অনুত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীকে এই সুযোগ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট অনুত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।
কয়েকদিন আগেই ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ অবস্থানে শহর জুড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। চাকরি চুরির প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা রাজ্য। আর তারই মাঝে আবার নতুন করে টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। ফলে এরও প্রতিবাদে আরও আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এবারে টেট পরীক্ষায় বসা নিয়ে বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৭-র পরীক্ষার্থীদের টেট পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির পুরসভা অভিযানে ধুন্ধুমার, আটক অগ্নিমিত্রা, সজল সহ একাধিক নেতা
মামলাকারিদের দাবি ছিল, ২০১৭ এর টেটে এই প্রার্থীরা ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। ফলে এরা গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭ কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গণ্য করতে হবে। কারণ গাণিতিক নিয়ম অনুসারে, দশমিকের পরের অঙ্ক ৫-এর ওপরে থাকলেই তা পরের নম্বর হিসাবে গণ্য করা হবে। আর এদিকে ৫৫ পেলেই এরা যোগ্য প্রার্থী হিসাবে মান্যতা পাবেন। মামলাকারীদের আরও দাবি, ২০১৭ সালেও ৮ টি প্রশ্ন ভুল ছিল, যা নিয়ে মামলা বিচারাধীন।
আর এরপরেই ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের ৫ জন এবং ২০১৭ সালের ১৬ জন, মোট ২১ জন অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এরা সকলেই অনুত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। প্রসঙ্গত, চাকরির দাবিতে তুমুল আন্দোলন চলছে রাজ্য জুড়ে। কোটি কোটি টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কয়েকদিন আগে করুনাময়ীতে পর্ষদের অফিসের পাশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। চাকরি না নিয়ে বাড়ি যাবেন না এই দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু টানা অনশন করার পর পুলিশ তাঁদের জোর করে সেখান থেকে তুলে দেয়। এমনকি আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে রাতারাতি আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয় করুনাময়ী থেকে। আবার এরই মাঝে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত।
+ There are no comments
Add yours