মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মাঝরাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুলে ওঠে নেপাল (Nepal Earthquake)। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে একশোরও বেশি। ৩ নভেম্বর রাতের এই ভূমিকম্প যেন ২০১৫ সালের নেপালের ভয়াবহতার স্মৃতিকে ফের একবার উস্কে দিল। গত এক মাসে টানা চারবার ভূমিকম্পের (Nepal Earthquake) ঘটনা ঘটল নেপালে। প্রতিবারই নেপালের ভূমিকম্পের আঁচ পড়ে উত্তর ভারত সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। গতকালের ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছে রাজধানী দিল্লি সহ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের একাংশ। ভূমিকম্পের আঁচ থেকে বাদ যায়নি তিলোত্তমাও। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতাতেও। তবে বিশেষজ্ঞরা আরও আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকছেই নেপালে
এমনিতেই পৃথিবীর মধ্যে ১১তম ভূকম্পনপ্রবণ রাষ্ট্র হল নেপাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটাই শেষ নয় এমন কম্পনের আশঙ্কা বজায় থাকবে! তাঁদের মতে, ৩ নভেম্বর নেপালে যে অংশে ভূমিকম্প হয়েছে তার উৎসস্থল দোতি জেলার কাছে। অন্যদিকে, ঠিক এক মাস আগে গত ৩ অক্টোবর ওই জেলারই আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এই জেলা নিয়েই আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ওই একই এলাকায় ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। সেই কম্পনে তিনজনের মৃত্যুর খবরও আসে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমালয়ের নিকটবর্তী ভূখণ্ডে যেকোনও সময় ভয়াবহ ভূমিকম্প (Nepal Earthquake) আবার হতে পারে। কারণ ওই অংশে ইন্ডিয়ান টেকটনিক প্লেট এবং ইউরাশিয়ান প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে।
ইন্ডিয়ান প্লেট সরছে উত্তর দিকে
সৃষ্টির প্রথমে অর্থাৎ চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারত মহাসাগর থেকে ইন্ডিয়ান প্লেটের উৎপত্তি হয়। এই ইন্ডিয়ান প্লেট যখন উত্তর দিকে সরতে থাকে তখনই ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্গে ধাক্কা শুরু হয়। দুটি প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয় হিমালয় পর্বতমালা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ইন্ডিয়ান প্লেট আবার উত্তর দিকে সরতে শুরু করেছে। যার ফলে নতুন করে চাপ তৈরি হচ্ছে। কোনও বড় রকমের ভূমিকম্প (Nepal Earthquake) হওয়ার পরেই এই চাপ মুক্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কখন সেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হবে! তা ঠিক বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই আশঙ্কা থাকছেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours