Temperature: তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামায় বাড়ছে জ্বর-কাশি! করোনা নয় তো?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার প্রকোপ রাজ্যে বেড়ে যাওয়ায় সর্দি-কাশির উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
Covid_19
Covid_19

 

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

সোম থেকে বৃহস্পতি। সপ্তাহের প্রথম চারদিনের তাপমাত্রার রকমফেরে বাড়ছে বিপদ। তীব্র তাপদাহের পর সোমবারের বৃষ্টির জেরে কলকাতা ও আশপাশের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৭ ডিগ্রি কমে গিয়েছিল। চল্লিশের চৌকাঠ পেরনো তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রিতে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই পারদ উর্ধ্বমুখী হয়। বুধবার অস্বস্তি বাড়ে। বৃহস্পতিবারও সেই অস্বস্তি অব্যাহত ছিল। ফের চড়েছিল তাপমাত্রার পারদ। পরে বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সেই অস্বস্তির গরমও অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু ঘন ঘন আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে বাড়ছে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। আর সেটাই তৈরি করছে নতুন উদ্বেগ (Covid 19)।

 কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ শরীর পাচ্ছে না। দ্রুত তাপমাত্রার বদলের জেরে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত শিশুরা জ্বর-সর্দি-কাশিতে বেশি ভুগছে। তবে বাদ নেই বড়রাও। তাদেরও জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার (Covid 19) প্রকোপ রাজ্যে বেড়েছে। তাই সর্দি-কাশির উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকেই সাধারণ জ্বরে কাবু হচ্ছেন। কিন্তু ঠিকমতো পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তাই সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করাতে হবে। অবহেলা বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে। 

কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

তাপমাত্রার এই রকমফেরে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথমত, এসির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। ঘরের ভিতরে অতিরিক্ত কম তাপমাত্রা সমস্যা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকলেও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়ত, ঠান্ডা জল কিংবা ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত বাইরে রোদ থেকে এসে ঠান্ডা জল খাওয়া যাবে না। এতে আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। তৃতীয়ত, শিশুদের রোদে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত দুপুর বারোটার পর শিশুদের বাড়িতে থাকাটাই ভালো। চতুর্থত, হাত-মুখ বারবার জল দিয়ে ধুতে হবে। এতে যেমন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমন যে কোনও জীবাণু থেকেও মুক্ত থাকা যায়। পঞ্চমত, তরমুজ, ডাব, লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। তার ফলে একদিকে গরমে দেহের ক্লান্তি দূর হবে, আবার শরীর সুস্থ থাকবে। জ্বর দুদিনের বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া কোনও ভাবেই বোঝা যাবে না, জ্বর সাধারণ ভাইরাস ঘটিত নাকি করোনা (Covid 19)!

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles