মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা। গর্ভনিরোধক কোনও কিছু ব্যবহার না করার কারণে কৈশোরে মা হচ্ছেন বহু কিশোরী। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হিন্দুদের (Hindus) চেয়ে কৈশোরে মা হচ্ছেন বেশি মুসলিম (Muslim) কিশোরী। শরীর পুরোপুরি গঠন হওয়ার আগেই মা হওয়ায় ভগ্নস্বাস্থ্য হচ্ছেন কিশোরী মা। যা ভবিষ্যতে তাঁর নিজের শরীরের পক্ষেই ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
সম্প্রতি ডেটা প্রকাশ করে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে (NFHS) ৫। তাতেই উঠে এসেছে চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য। জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যেই মা হচ্ছেন ৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা। এঁদের মধ্যে আবার মুসলমানদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি। শতাংশের হিসেবে ৮.৪। এর পরে রয়েছে খ্রিস্টান। শতাংশের হিসেবে তাঁরা ৬.৮। সব শেষে রয়েছেন হিন্দু। তাঁদের হার ৬.৫ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্ট যে হিন্দুদের তুলনায় কৈশোরে মুসলমানদের গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা ৩০ শতাংশ বেশি। এই তথ্য থেকে এও স্পষ্ট গর্ভনিরোধক ব্যবহারে তাঁদের ঘোর অনীহা।
আরও পড়ুন: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?
প্রসঙ্গত, বাল্য বিবাহের কারণে হিন্দুদের শাস্তি দেওয়া যায়। কিন্তু মুসলমানদের তা দেওয়া যায় না। কারণ তাঁদের পার্সোলান ল’ রয়েছে। সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, কৈশোরে গর্ভবতী (Teen Pregnancies) হওয়ার প্রবণতা শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলেই বেশি। শিক্ষা এবং সম্পদ যাঁদের কম, তাঁদের পরিবারের ক্ষেত্রেই সচরাচর এটা দেখা যায়। বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মহিলা ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে মা হন। কৈশোরে গর্ভবতী হওয়ার হার সব চেয়ে বেশি ত্রিপুরায়। শতাংশের হিসেবে ২২। এর পরেই রয়েছে বাংলা। সেখানে এই হার ১৬ শতাংশ। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড।
সমাজকর্মীদের মতে, নাবালিকা বিবাহের কারণে দ্রুত বাড়ছে জনসংখ্যা। সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুসলমানদের মধ্যে এই বয়সে সন্তান জন্মদানের হার ২.৪ শতাংশ। সেখানে হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে এই হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। আরও জানা গিয়েছে, ভারতে গত পাঁচ বছরে নাবালিকা বিয়ের হার ২২২ শতাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours