মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের চেষ্টায় আমাজনে দেখা মিলল (Amazon) বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছ।২৫ তলা উঁচু বাড়ির( 25 Storey) সমান লম্বা গাছটির থ্রিডি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে।৩ বছরের প্ল্যানিং, ৪ টি অভিযান, ঘনতম জঙ্গলে দীর্ঘ যাত্রার পরে শেষ অবধি এল সেই কাজে সাফল্য ৷ বৈজ্ঞানিকেরা জানিয়েছেন, এই গাছের সামনে পৌঁছতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছেন তাঁরা। বিষাক্ত মাকড়সা এবং অন্য পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে অদম্য সাহস নিয়ে ১৯ জনের টিম দুই সপ্তাহের পর পৌঁছেছে সেই গাছের কাছে।বিজ্ঞানীরা গাছটির বিশালতা দেখার পর থেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছে। ঘনজঙ্গল ঘেরা নদী পথে নৌকায় ২৫০ কিলোমিটার, তার পরে আরও ২০ কিলোমিটার হেঁটে বিজ্ঞানীরা সেই গাছের গোড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিশালাকার গাছটিতে কত কার্বন জমা রয়েছে তারও পরীক্ষা করবেন৷ উত্তর ব্রাজিলের ইরাতাপুর নদীর নেচার রিজার্ভে (Reserve) গাছটি অবস্থিত৷গাছটির নাম অ্যাঞ্জেলিম বর্মেলো এবং এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দেওয়া হয়েছে ডিনিজিয়া এক্সেলসা (Dinizia excelsa) গাছটি লম্বায় ৮৮.৫ মিটার (২৯০ ফুট), প্রায় একটি ২৫ তলা বাড়ির মতো, আর চওড়ায় ৯.৯ মিটার (৩২ ফুট)৷ এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের সন্ধানে পাওয়া আমাজনের সবচেয়ে বড় গাছ৷
[tw]
After three years of planning, five expeditions and a two-week trek through dense jungle, scientists have reached the tallest tree ever found in the Amazon rainforest, a towering specimen the size of a 25-storey buildinghttps://t.co/V6NSwNWzEW pic.twitter.com/c4yrVg4j76
— AFP News Agency (@AFP) October 8, 2022
[/tw]
টিমের অন্যতম সদস্য আমাপা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Amapa Federal University) ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার দিয়েগো আর্মান্দো সিলভা বলেন, এই গাছের কাছে পৌছানো তার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।তিনি বলেন, দেখে হচ্ছে গাছটি অন্তত ৪০০-৬০০ বছরের প্রাচীন। বিজ্ঞানীরা সেখানকার মাটি, গাছের পাতা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাদের দাবি, বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে নেওয়ার কারণেই এই গাছটির এতটা ওজন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল। আমাজন নদী এই বনটির জীবনীশক্তি। প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চলটি আয়তনের দিক থেকে ভারতের প্রায় ৫ গুন । সমগ্র পৃথিবীতে যত রেইনফরেস্ট আছে তার মধ্যে অর্ধেকই হল এখানে। আমাজনের ৪০ হাজার প্রজাতির প্রায় 3 হাজার 900 কোটি বৃক্ষ রয়েছে। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের কুড়ি শতাংশ উৎপাদিত হয় আমাজনের জঙ্গলে। সে কারণে এই জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুসও বলা হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এই আমাজন বন।
+ There are no comments
Add yours