Talaq-e-Hasan: তালাক-এ-হাসান আর তিন তালাক এক নয়, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের! জানেন এর পার্থক্য

তালাক-এ-হাসান মুসলিম দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের একটি ধরন। এক্ষেত্রে স্বামী, তাঁর স্ত্রীকে প্রতি মাসে এক বার (মোট তিন মাস) ‘তালাক’ দিয়ে বিচ্ছেদের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারেন।
supreme-court-4
supreme-court-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন তালাকের (Tin Talaq) মতো নয় তালাক-এ-হাসান (Talaq-e-Hasan) । এর অনুশীলন অতটাও ‘অনুচিত’ বা ‘বেঠিক’ নয়। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে এমনই মত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, এই বিষয়টিকে মহিলাদের অ্যাজেন্ডা করা উচিত নয়। কারণ, মহিলাদেরও জন্যও বিকল্প খোলা আছে।

 
 
এই তালাক-এ-হাসান প্রথারই অনুশীলন বন্ধের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক বেনজির হিনা। তাঁর বক্তব‌্য ছিল– এই প্রথা ইসলাম এবং ভারতীয় সংবিধান, উভয়েরই বিরোধী। এই প্রথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার পাশাপাশি লিঙ্গ বৈষম্যকেও প্রশ্রয় দেয়। অ্যাডভোকেট অশ্বিনী কুমার দুবের মাধ্যমে সাংবাদিক বেনজির হিনার দায়ের করা পিটিশনে দাবি করা হয় যে, এই প্রথা অসাংবিধানিক। কারণ এটি অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং সংবিধানের ১৪, ৫১, ২১ এবং ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি একতরফা বিচার বহির্ভূত তালাক।
 
সেই আবেদনেরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌলে এবং এমএম সুন্দ্রেশের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ– ‘‘প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখতে হলে তালাক-এ-হাসান অতটাও বেঠিক প্রথা নয়। আমরা চাই না, অকারণে এটা নিয়েও অ‌্যাজেন্ডা তৈরি করা হোক।’’ আবেদনকারী  সাংবাদিক হিনা এই মত মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিজেই তালাক-এ-হাসান পদ্ধতির বিচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট।
 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles