মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিট (National Eligibility Entrance Test) পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রীদের জোর করে অন্তর্বাস খোলানো নিয়ে সরগরম কেরল (Kerala)। অভিযোগ, পরীক্ষাহলে ঢোকার আগে ছাত্রীদের জোর করে অন্তর্বাস খোলানো হয়েছে। চেকিংয়ের সময় মেটাল ডিটেক্টরে ব্রায়ের হুক নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি। ফলে ছাত্রীদের অন্তর্বাস নিয়ে আপত্তি জানায় কেরালার কোল্লাম জেলার (Kollam district) মারথোমা ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (Kerala's Marthoma Institute of Information Technology)। ওই সেন্টারে পরীক্ষা দিতে আসা এক পড়ুয়ার বাবা কোট্টারাকারা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এই শর্তে রাজি না হওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। যদিও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (NTA) গাইডলাইনে অন্তর্বাস নিয়ে কোনও আপত্তির কথা লেখা নেই। অভিযোগকারীর দাবি, ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে ৯০ শতাংশ মহিলা পরীক্ষার্থীকে অন্তর্বাস খোলার পরই পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাদের প্রশ্ন করা হয়, ''কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? অন্তর্বাস না ভবিষ্যৎ?'' যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেরলের ওই ইনস্টিটিউট। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এনটিএ। চিঠি লিখে এনটিএ-এর থেকে ঘটনাটি বিস্তারিত জানতে চান কেরলের শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু। কেরলের শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন পুরো ঘটনার তদন্তের জন্য কেরলে তদন্তকারী দল পাঠাচ্ছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে তা ধর্ষণ নয়, ঐতিহাসিক রায় কেরল হাইকোর্টের
সম্পূর্ণ ঘটনাকে অত্যন্ত অপমানজনক আখ্যা দিয়ে ১৭ বছরের এক ছাত্রী জানান, রবিবার পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে জোর করে অন্তর্বাস খোলানোয়, পরীক্ষা চলাকালীন সর্বক্ষণ তাঁকে চুল দিয়ে বুক ঢেকে রাখতে হয়। তিনি বলেন, “পরীক্ষা শুরুর আগে ওনারা আমায় ডাকেন এবং বলেন যে সমস্ত পরীক্ষার্থীর স্ক্যানিং হবে। আমরা ভেবেছিলাম দুটো লাইনে দাঁড় করানো হচ্ছে, এবার চেকিংয়ের পরই হয়তো যেতে দেওয়া হবে। কিন্তু ওনারা বলেন, যারা ধাতব হুকের ব্রা পরে রয়েছে, তাদের সকলকেই ব্রা খুলতে হবে। আমাকেও প্রশ্ন করা হয় যে অন্তর্বাসে ধাতব হুক আছে কি না, হ্য়াঁ বলতেই আমায় একটি লাইনে দাঁড়াতে বলে।”
ওই ছাত্রী আরও বলেন, “ওনারা আমাদের অন্তর্বাস খুলে টেবিলের উপরে রাখতে বলেন। সমস্ত ছাত্রীদের ব্রা এক জায়গায় জড়ো করে রাখা হয়। আমরা তখনও জানতাম না যে পরীক্ষার পর আর অন্তর্বাস ফেরত দেওয়া হবে কি না। পরীক্ষা শেষে যখন ওই ঘরে যাই, সেখানে প্রচন্ড ভিড় ছিল। ওনারা আমাদের বলেন যে হাতে ব্রা নাও আর বেরিয়ে যাও। পরার কোনও দরকার নেই। কোনওমতে নিজের অন্তর্বাস খুঁজে নিয়ে আমি বেরিয়ে আসি।”
+ There are no comments
Add yours