মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা গত শনিবারই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শান্তি ফেরাতে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় সোমবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হবেন বলেও জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। পথে পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে সেখানেই তিনি অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়বেন বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রবিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের মদতেই বাংলার মহিলাদের উপর এই ধরনের বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে সন্দেশখালির দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল
অন্যদিকে, সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই থমথমে পরিবেশ গোটা সন্দেশখালিজুড়ে। সকালে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রওনা হওয়ার আগে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে তিনি বাইরে থাকার জন্য যেতে পারেননি সেখানে। সন্দেশখালির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ-এই খবর পেয়ে তিনি রাজ্যে ফিরেছেন।
অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাধিক দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে সন্দেশখালিবাসীর। সেখানকার শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন মহিলারা। সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে বিধানসভা থেকে রাজভবন অভিযান করে বিজেপির বিধায়ক দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে রাজ্যের সমস্ত থানায় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। যুব মোর্চার তরফ থেকেও আন্দোলনে নামা হয়।
আরও পড়ুন: হলদোয়ানির হিংসায় ধৃত ৩০, “দেবভূমির পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না”, বললেন ধামি
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours