মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মাঝে আর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন বড় পদক্ষেপ করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। কোলাঘাট থানার এফআইআরের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ বহাল থাকবে ১৭ই জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুলিশ বা কোন এজেন্সি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশের ভভিযোগ
প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে তল্লাশির নাম করে কোনও কিছু ঢুকিয়ে দিতে চাইছিল পুলিশ। এমনকি যারা পুলিশ সেজে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এই অভিযান চালায় পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল শুভেন্দুর। সার্চ ওয়ারেন্ট এবং ভিডিওগ্রাফি ছাড়া পুলিশ কীভাবে অভিযান চালাতে পারে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর বাধার মুখে পড়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদানসহ একাধিক ধারায় মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দ্বারস্ত হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা অভিযোগ শুভেন্দুর
শনিবার তমলুক লোকসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। তাঁর আগে যাতে নতুন করে পুলিশি অভিযান না হয় বিরোধী দলনেতার তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয় ভোটের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বড় কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এর আগেও হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সেই রক্ষাকবচ বহাল রইল। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, “এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও নির্দেশের প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে পুলিশ।”
আরও পড়ুন: "ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু", অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর
“অনুসন্ধান না করেই চলে গেল পুলিশ” মন্তব্য বিচারপতির
শুক্রবার আদালতের শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী, বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি ছিল, “২০ মে কোন সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটের ওই অফিস তথা অস্থায়ী বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, অফিসে বোমা, অস্ত্র ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছিল। যদিও সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।” এর পাল্টা রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, “এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল সেটা শুভেন্দু অধিকারীর নয় সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির। পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তারই তদন্ত করতে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি অমৃত সিনহা মন্তব্য করেন, “পুলিশ কী অভিযোগ পেয়েই চলে গেল। পুলিশ অনুসন্ধান করবে না। কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ পেয়েই চলে যায়। প্রশ্ন তোলেন তিনি।” দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours