Supreme Court: “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

RG Kar Case: “চালান মিসিং হলে বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে”, বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের...
Supreme_Court_(2)
Supreme_Court_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ঘটনার পর মাসখানেক পার হতে চলল, এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা। নির্যাতিতার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতেও হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠেছে নানা প্রশ্ন। এই মামলায় সোমবারই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। আগামী সোমবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

চালান কই? (RG Kar Case)

এদিন মামলার শুনানির সময় রাজ্যকে একাধিক প্রশ্ন করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ময়নাতদন্তের সময়কাল নিয়ে প্রশ্নোত্তর-পর্ব চলাকালীনই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়, তখনকার সেই চালান কোথায়? চালান এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা দেখলে বোঝা যায় মৃতদেহের সঙ্গে আর কী কী পাঠানো হয়েছিল।”

সমস্যা আছে!

কোনও মৃতদেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়, তাঁর আগে চিকিৎসকরা একটি চালান পূরণ করে মৃতদেহের সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। সিবিআইকে সেটাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পেশ করতে বলা হয়। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা কোনও চালান পাননি। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও জানান, তিনিও এমন কোনও চালানের নথি পাননি। সিবিআই এবং সলিসিটর জেনারেলের উত্তর শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বলেন, “এই চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের (RG Kar Case) জন্য গ্রহণ করা হয় না, তাহলে?” তিনি বলেন, “চালান ছাড়া কীভাবে ময়না তদন্ত হল দেহের?” বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, “চালান যদি মিসিং হয়, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে।”

আরও পড়ুন: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, হাইকোর্টে যে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে চালান ছিল। পরবর্তী শুনানির দিন সেই চালান আনার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও উঠল প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী, সন্ধে ৬টার পর ময়নাতদন্ত করা যায় না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে সলিসিটর জেনারেল বলেন, “দুপুর ২.৩০ থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০টি জিডি রয়েছে। তাহলে একটি জিডি কি ভুয়ো? নাকি পরে তৈরি করা হয়েছে? কারা (RG Kar Case) করেছে ভিডিওগ্রাফি? কোনও প্রমাণ আছে?”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles