Supreme Court On VVPAT: ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের সব কাগজ মিলিয়ে দেখার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, কেন জানেন?...
1616066711_supreme-court-4
1616066711_supreme-court-4

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের একশো শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে জমা পড়া সব মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court On VVPAT)। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাগুলি খারিজ করে দেয়। ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন ও একশো শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ জমা দেওয়ার অনুমতি চেয়েও যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, খারিজ করে দেওয়া হয়েছে সেগুলিও। বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সাত দিন পরে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি জমা দিয়ে ভিভিপ্যাট স্লিপ গণনার আবেদন জানানো যেতে পারে। 

দাবির বিরোধিতা আগেই করেছিল নির্বাচন কমিশন (Supreme Court On VVPAT)

প্রসঙ্গত, দেশের একশো শতাংশ বুথে ইভিএমের ফলের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখার দাবির বিরোধিতা আগেই করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছিল, সব বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের জমানায় পিছিয়ে যাবে। ইভিএমে নির্দিষ্ট কোনও (Supreme Court On VVPAT) বোতামে চাপ দেওয়ার পর ভোটটি সঠিক জায়গায় পড়ল কিনা, তা দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। বোতামে চাপ দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যেই একটি কাগজ প্রার্থীর নাম ও প্রতীক সহ বেরিয়ে আসে ভোটযন্ত্র থেকে। সেই কাজ জমা হয় একটি পাত্রে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি এলাকা থেকে যে কোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব মিলিয়ে দেখা হয়। একশো শতাংশ বুথেই এই হিসেব মিলিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছিল দেশের বিজেপি-বিরোধী দলগুলি।

বিচারপতির নির্দেশ

এদিন কয়েকটি নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি খান্না। তিনি বলেন, “ভিভিপ্যাটের প্রতীক লোডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রতীক লোডিং ইউনিটগুলি সিল করা হবে। সিল করা সেই বাক্স স্ট্রংরুমে রাখা হবে ৪৫ দিনের জন্য। পরে যাচাইকরণের সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন প্রার্থীরা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সেই ইউনিটির ডেটার সত্যতা যাচাই করবেন। সেই ইউনিটের মেমরি চেক করার দায়িত্বে থাকবেন ইঞ্জিনিয়ররা। ইভিএমে যদি কারচুপি হয় এবং যাচাইকরণ পর্বে তা ধরা পড়ে, সেই প্রক্রিয়ায় খরচ হওয়া অর্থ ফিরিয়ে দিতে হবে প্রার্থীদের।” বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “একটি সিস্টেমকে অন্ধভাবে সন্দেহ করলে তা সংশয়ের জন্ম দিতে পারে। তাই এসব ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ পর্যালোচনা প্রয়োজন (Supreme Court On VVPAT)।”

আরও পড়ুুন: বিলম্বিত বোধদয়! এবার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করবে রাজ্য শিক্ষা দফতর

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles