Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

উত্তর ২৪ পরগনায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন...
1296954-supreme-court
1296954-supreme-court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন এখনও রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না? যাঁদের জন্য টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন?” শুক্রবার সিবিআইকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন জামিন পেয়েছেন চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআইকে প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত।

তদন্তের অনুমতি দেয়নি রাজ্য!

নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, নাইসারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ছাড়া পেলেন প্রসন্ন। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই জানিয়েছে, কয়েকজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি এখনও মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২২ সালের অগাস্টে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।

রং মিস্ত্রি কয়েক কোটি টাকার মালিক!

এক সময় রংয়ের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন। অথচ সিবিআই যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। পরে জানা যায়, প্রসন্ন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। এদিন প্রসন্নর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই সওয়াল চলাকালীনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। অবশ্য এই প্রথম (Supreme Court) নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিয়োগ কেলেঙ্কারির চাঁইদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল সিবিআইকে।

আরও পড়ুুন: রাচিনের মুখে জয় শ্রী রাম! নাতির জন্য প্রার্থনা ঠাকুমার

জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। এই কারণে বিধাননগরে একটি পরিবহণ সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হত, প্রসন্নর পাঠানো তালিকা দেখে সেই অযোগ্যদেরই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের। প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। ওই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত (Supreme Court)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles