মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো।” বুধবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। তার পর এবার দাবি আদায়ে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদি-মমতা বৈঠক
২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে একশো দিনের কাজের টাকা, বাংলার বাড়ি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বকেয়া-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, আগের বরাদ্দের হিসেব জমা দিলেই ফের বরাদ্দ মিলবে। সেই কারণেই রীতিমতো খতিয়ান তৈরি করে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুকান্তর কটাক্ষ-বাণ
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন উদ্যোগকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করাই সার হবে। আদতে কোনও লাভ হবে না। যে ইস্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন, তা আদৌ সফল হবে না। এজন্য রাজ্য সরকারকে আগের দেওয়া টাকার হিসেব দিতে হবে কেন্দ্রকে। সুকান্ত জানান, ওই হিসেব মিললেই পরের কিস্তির টাকা হাতে পাবে রাজ্য। বালুরঘাটের সাংসদের কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ভাল খাওয়ানো হয়, ভাল চা দেওয়া হয়। সেগুলি খেয়েই চলে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।”
আরও পড়ুুন: মোদির পরেই রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা, কেন জানেন?
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা খতিয়ানকে ভুয়ো বলে দাগিয়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেক কথা বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মোটা ফাইল নিয়ে দেখাতেন সিপিআইএম নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ এতে রয়েছে বলে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কতজন সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে? কতজন গ্রেফতার হয়েছেন? এর পরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যেমন ভুয়ো ছিল, তেমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইলও ভুয়ো।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours