মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর আর শিক্ষক কখনও এক সঙ্গে বিতর্কে বসতে পারে না।” মঙ্গলবার অভিষেককে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা পদ্ম শিবিরের অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার হিসেব নিয়ে বিতর্ক আহ্বান করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আহ্বান প্রত্যাখান করতে গিয়ে অভিষেককে নিশানা করেন বালুরঘাটের সাংসদ।
অভিষেকের চ্যালেঞ্জ (Sukanta Majumdar)
সোমবার বালুরঘাটে জনসভা করেন অভিষেক। এই বালুরঘাটেরই বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত। এদিনের সভায় সুকান্তকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আমি সুকান্তবাবুকে বলব, আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আর একবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলাম। আপনি জায়গা ঠিক করুন, সময় ও সঞ্চালক ঠিক করুন। একদিকে আপনি থাকবেন, একদিকে আমি থাকব। এই তিন বছরে আবাস যোজনায় ১০ পয়সার শ্বেতপত্র আর ১০০ দিনের কাজে ১০ পয়সার হিসেব বিজেপি দিতে পারলে রাজনীতির আঙিনায় আমি পা রাখব না।”
সুকান্তর মোক্ষম জবাব
অভিষেকের এই চ্যালেঞ্জেরই জবাব মঙ্গলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “বসা তো যায়ই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে বলে, শ্রাস্তার্ধ বা যুক্তির লড়াই সব সময় সমকক্ষ লোকেদের মধ্যে হওয়া উচিত। চোর আর শিক্ষক তো এক সঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না। তাহলে তো শিক্ষকদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে!” লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে পড়ে গিয়েছে কাঠি। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন নির্বাচন হবে ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলার তিন আসনও – জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।
আরও পড়ুুন: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই নেতার অভিযোগ, বঞ্চনার। যেহেতু মোদি সরকারের গায়ে কালির ছিটে দেওয়া যায়নি, তাই প্রতিটি জনসভায় তৃণমূল নেতারা ফাটা রেকর্ডের মতো আউড়ে চলেছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। বিজেপির দাবি, গত ১০ বছরে মোদি সরকারের আমলে দেশজুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে, তাতে বিচলিত তৃণমূল নেতারা।
এই উন্নয়নের কারণেই বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি বেশি আসন পাবে তৃণমূলের চেয়ে। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার পাশাপাশি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন অভিষেক। যার জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে ‘ভাইপো’কে চোর আখ্যা দিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours