মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন যিনি জয় শ্রীরাম ডাক শুনতে পারতেন না, তিনি এখন রামনবমী ছুটি দিয়েছেন। কথায় বলে ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনওদিনই পূরণ হবে না, হতে পারে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। বালুরঘাটের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় এসে এইভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
তৃণমূল ছেড়ে প্রায় আড়াইশো জন কর্মীর বিজেপিতে যোগদান (Sukanta Majumdar)
এদিনের নির্বাচনী প্রচার সভায় আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূলের প্রায় আড়াইশো জন কর্মী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। মূলত, এদিন বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের ফতেপুর এলাকায় একটি যোগদান কর্মসূচি ও একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভাতে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, তৃণমূলের থেকে কর্মীদের মোহভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে, এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ভোটের মুখে দলে দলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক আমাদের দলে নাম লেখাচ্ছেন। এতে আমাদের সংগঠন আরও অনেক মজবুত হল। আগামীদিনেও আরও বহু তৃণমূল কর্মী আমাদের দলে যোগদান করবেন। মানুষ তিতি বিরক্ত। তৃণমূলের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের সঙ্গে কেউ আর থাকতে চাইছে না।
আরও পড়ুন: "গাছ-বাঁশঝাড়, বাড়ি-ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এরকম ঝড় দেখিনি", বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা
তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?
যদিও সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই কটাক্ষককে উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকী বলেন , সুকান্তবাবু শিক্ষিত অধ্যাপক, তিনি মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন তা কাম্য নয়। পাশাপাশি বাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বামেরা বিজেপিকে সাহায্য করছে, তা জানি। তবে, যত সংখ্যা বলছেন, তত সংখ্যায় যোগদান করেনি। মাত্র কয়েকজন যোগদান করেছেন। তৃণমূল থেকে কেউ যোগদান করেনি। ওরা মিথ্যা দাবি করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours