মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি-তে (UPSC CAPF) সুযোগ পেলেন মহম্মদ শফিক। রাজৌরি জেলার মানজাকোট তহসিলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হায়াতপুরার বাসিন্দা শফিক কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যেখানে অতীতে শুধুই গোলাগুলির শব্দ শোনা যেত, এখন সেখান থেকেই ইউপিএসসি-পরীক্ষায় সফল ছাত্র। উপত্যকার মানুষের কাছে শফিক এক আইকন (Success Story)।
প্রেরণার উৎস (Success Story)
হায়াতপুর জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা শফিক। এখানে জীবন যাপন যথেষ্ট কঠিন। প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয় শফিকদের। তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাম করার তাগিদ থেকেই এই লড়াই। ভারতের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার লড়াই। বিচ্ছিন্নতা নয়, শফিকরা বিশ্বাস করেন তাঁরা ভারতবাসী। এই দেশের তরুণ সমাজের মতোই তাঁরাও স্বপ্ন দেখে প্রশাসনিক স্তরে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার। এই কাজে সফল শফিক। উপত্যকার তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণার (Success Story) উৎস তিনি।
কঠিন লড়াই (Jammu Kashmir)
ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি ইউপিএসসি। এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে বলে জানান শফিক। তিনি বলেন,“আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না যার কারণে আমরা পায়ে হেঁটে মাঞ্জাকোটে স্কুলে যেতাম। আমি রাজৌরী থেকে কলেজ করেছি। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমি রাজৌরীতে থাকতে পারিনি যে কারণে আমাকে প্রতিদিন রাজৌরী যেতে হত। আমি মাঞ্জাকোট থেকে প্রথম বাসে চড়তাম, তারপর অটো নিতাম এবং ২-৩ বার চেঞ্জ করে কলেজে যেতাম। এই সমস্ত প্রচেষ্টার পরে, আমার উপস্থিতি ৯৫ শতাংশের উপরে ছিল।" ছোট থেকেই দেশের সেবা করতে চাইতেন শফিক। তাই এই কাজে আসা বলেও জানান তিনি। বাবা-মা সাফল্যের উৎস, অভিমত শফিকের। তাঁর কথায়, “আমার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমার ব্যর্থতাতেও তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। তাঁরাই আমার সাফল্যের কারণ।”
আরও পড়ুন: দিনমজুর থেকে আইআইটির ছাত্র! উত্তরপ্রদেশের গগন এখন পড়ুয়াদের প্রেরণা
খুশি পরিবার
ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা ও পরিবারের সকলে। শফিকের মা শামীম আক্তার বলেন, “বাবা-মায়ের অবস্থা যেমনই হোক তাঁদের উচিত ছেলেমেয়েদর শিক্ষিত করা। আমার ছেলেরা খুব কষ্ট করে স্কুল যেত। কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা আমাদের পাশে দাঁড়াত। তাই ছোট থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে চাইত শফিক। আমি খুশি ও দেশ সেবা করবে এই ভেবেই।” শফিকের বাবা বারকেত হোসেন বলেন, “আমরা হিন্দুস্তানে থাকি এটা আমাদের দেশ আর আমরা হিন্দুস্তানি।” শফিকের ভাইরাও তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ (Success Story) করতে চান বলে জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours