Balurghat: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের কাজে রাজ্যের ঢিলেমি, সরব সুকান্ত

Land Acquisition: বালুরঘাট-হিলি রেলপথের জমি নিয়ে কাঠগড়ায় রাজ্য, কী বললেন সুকান্ত?
Balurghat_(1)
Balurghat_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট-হিলি রেলপথ (Balurghat) সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। জুলাই মাসের মধ্যেই রেল দফতরের হাতে এক-তৃতীয়াংশ জমি হস্তান্তর করার প্রশাসনিক দাবি থাকলেও, বাস্তবে কিন্তু ঘটেছে অন্যরকম। ৭০ শতাংশ জমিদাতাই এখনও টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, কত টাকা পাওয়া যাবে, ওই টাকা কবে ঢুকবে বা কবে জমি তাঁদের ছাড়তে হবে ইত্যাদি নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জমিদাতারা। আর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এই কাজে গতি আনার দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সুকান্তবাবু বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ জেলা প্রশাসনের। জমিদাতাদের বিঘা প্রতি কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বা কত টাকা তাঁরা পাবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট তাঁদের জানানো উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করেছে, তাই জেলা প্রশাসনকে জমি অধিগ্রহণের (Land Acquisition) কাজে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।

সমস্যায় ১০০টি পরিবার (Balurghat)

প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে বালুরঘাট পর্যন্ত ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে ইউপিএ সরকার ওই রেলপথের অনুমোদন দিয়ে দেয়। বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত ২৯.৭ কিলোমিটার পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। দীর্ঘদিন ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জমিদাতা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফায় বালুরঘাট ব্লকের যে সমস্ত এলাকার জমি রেল দফতরকে জুলাই মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে প্রশাসনের, সেই সব এলাকার জমিদাতাদের অধিকাংশই এখনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত লাইন আত্রেয়ী নদী পেরিয়ে বালুরঘাট শহরে ঢুকে ভাটপাড়া, অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ঢুকবে হিলি ব্লকে।

বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া ভাটপাড়া গ্রামাঞ্চলের যে দিকে রেল লাইন যাবে, সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই এখনও তাঁদের জমির প্রাপ্য টাকা পাননি। অথচ জেলা প্রশাসন দাবি করছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে এক-তৃতীয়াংশ জমি তুলে দেওয়া হবে রেল কর্তৃপক্ষের হাতে এবং দুর্গাপুজোর মধ্যেই ৭০ শতাংশ জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গত বছর দুর্গাপুজোর পর থেকেই টাকা দেওয়া হবে বলে শুনেছেন জমিদাতারা। তাঁদের বসবাসের বাড়ি এবং জায়গা ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র। এই ১০০টি পরিবারকে জমি কিনে বাড়ি করে নিতে হবে। এই সুযোগে এলাকায় জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বা যে হিসেবে টাকা দেওয়া হবে, সেই টাকা দিয়ে আদৌ জমি কিনে বাড়ি করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান জমিদাতারা। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, জমি দান করতে সম্মতি জানালেও কত দাম দেওয়া হবে জমির জন্য, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। বারবার জেলা প্রশাসনিক দফতরে গিয়েও তাঁরা জানতে পারেননি, কত টাকা পেতে পারেন বা কবে ঢুকবে টাকা। সেই কারণে সমস্যায় পড়েছে এই ১০০টি পরিবার।

কী বলছেন জমিদাতারা?

জমিদাতা লোকনাথ হালদার বলেন, বছরখানেক আগেই কাগজপত্র প্রশাসনের কাছে জমা করে দিয়েছি। এখন আমাদের অন্যত্র জমি কিনে নেওয়ার কথা। কিন্তু কত টাকা পাব বা কবে টাকা পাব, এই ব্যাপারে কিছুই জানতে পারছি না। এদিকে জমিও (Balurghat) কিনতে পারছি না, জমির দামও বেড়ে যাচ্ছে।

কী জানাল জেলা প্রশাসন?

জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ৩০ শতাংশ জমিদাতাদের (Balurghat) টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে কামারপাড়া পর্যন্ত জমি রেলকে হস্তান্তর করা হবে। পুজোর আগে এই প্রকল্পের জন্য সমস্ত জমিই রেলকে হস্তান্তর করা হবে। সম্প্রতি রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

সক্রিয় হওয়ার আর্জি সুকান্তর (Balurghat)

এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, জেলা প্রশাসনের কাজ হল জমি অধিগ্রহণ করা। তাদের উচিত, জমিদাতাদের সঠিক তথ্য জানানো, তাঁরা প্রতি বিঘার উপর কত করে দাম পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণের জন্য। জেলা প্রশাসনের সক্রিয় হওয়া উচিত (Land Acquisition)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles