মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশমের নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, সেই মামলায় আদালতের নির্দেশের পর বেআইনিভাবে সুপারিশ করা ৪০ জনের ওএমআর শিট (omr sheet) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। এসএসসি-এর সাইটে ওএমআর শিট প্রকাশ করতেই বেরিয়ে আসল আসল সত্যিটা। ফাঁকা খাতা জমা দিয়েই পেয়েছে অনেক নম্বর, আবার ওএমআর শিটে নম্বর পরিবর্তনেরও অভিযোগ উঠে এসেছে। ফলে ওএমআর শিট (OMR Sheet) জালিয়াতির মামলায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
ওএমআর শিট থেকে কী তথ্য পাওয়া গেল?
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ৪০ জন প্রার্থীর ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরেই দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থীর উত্তরপত্র ফাঁকা। শুধু রোল নম্বর, ভেনু কোড, বুকলেট সিরিয়াল নম্বর, সাবজেক্ট কোডের জায়গায় গোল করা আছে। গোল করা আছে পরীক্ষার্থী কোন ক্যাটাগরির, কোন জেন্ডার আর কোন মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু অদ্ভূতভাবে উত্তরপত্র পুরোটাই ফাঁকা। কেউ সেখানে কোনও দাগ দেননি।
ফলে এসএসসি নবম – দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) কী ভাবে জালিয়াতি হয়েছিল ওএমআর শিটে? কারা বদলেছিল নম্বর? এর পিছনে কার হাত রয়েছে? এ সব বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। আর তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করল সিবিআই।
আরও পড়ুন: ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, গুজরাটে ১৫০-রও বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি
প্রসঙ্গত, নবম-দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রথমে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, যাঁদের নাম বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪০ জনের নামের সঙ্গে ওমএমআর শিটও প্রকাশ করতে হবে। এরপরই উত্তরপত্র প্রকাশ করে এসএসসি। ফলে তারপরেই এমন ধরণের ওএমআর শিটের নমুনা দেখতে পাওয়া যায়।
এর আগেই সিবিআই আদালতে জানিয়েছিল যে, একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের নম্বর বদল হয়েছে। এই মামলায় (SSC Scam) ২০ জন প্যানেলভুক্ত ও ২০ জন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীর নম্বরে কারচুপি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানায় সিবিআই। এরপরই সেই তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। তদন্তে দুটি মাদার ডিস্ক পেয়েছিল সিবিআই। একটি এসএসসি-র দফতর থেকে পাওয়া যায় ও অপরটি পাওয়া যায় গাজিয়াবাদ থেকে। সেখান থেকেই পাওয়া যায় ওএমআর শিটের তথ্য। সিবিআই তখন জানিয়েছিল, যাঁদের প্রাপ্ত নম্বর আসলে ছিল ৫ বা ৬, সেটাই বাড়িয়ে ৫৩ বা তার বেশি করে দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এরপরেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’
সূত্রের খবর, কার নির্দেশে, কারা, কী ভাবে নম্বর বদল করেছে তার বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই সব বিস্ফোরক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কার নির্দেশে বাংলার শিক্ষায় এমন নৈরাজ্য নেমে এসেছে, তারই উত্তর চাইছে এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ (SSC Scam)।
+ There are no comments
Add yours