SSC Scam: জারি হতে পারে অবমাননা রুল, নিয়োগ-মামলায় মুখ্যসচিবকে ‘শেষ সুযোগ’ হাইকোর্টের

Calcutta High Court: হাইকোর্টের হুঁশিয়ারি, নিয়োগ-মামলায় মত স্পষ্ট না করলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে রুল জারি হতে পারে
Calcutta_highcourt-1-750x430
Calcutta_highcourt-1-750x430

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। নিজের অবস্থান জানানোর জন্য তাঁকে শেষ সুযোগ দিল আদালত। এই নিয়ে চতুর্থ বার সময় দেওয়া হল। এবার যদি আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মুখ্যসচিব পদক্ষেপ না করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে বলেও মঙ্গলবার জানায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানি।

কী বলল আদালত

মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ শিক্ষা দফতরের কয়েক জন প্রাক্তন আধিকারিকের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের মুখ্যসচিবের অনুমতি না পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এই সংক্রান্ত মামলার গত শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ ছিল, মুখ্যসচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। ২৩ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবারই এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকারকে। কিন্তু মঙ্গলবারও মুখ্যসচিব কোনও রিপোর্ট জমা দেননি। গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত তাঁকে আর মাত্র ১০ দিন সময় দিয়েছে। এরপর মুখ্যসচিবের রিপোর্ট না পেলে রুল ইস্যুর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী।  

আরও পড়ুন: ১৭টি বিভিন্ন উপায়ে নিয়োগে দুর্নীতি করেছে এসএসসি! কী বলল হাইকোর্ট?

রাজ্যের যুক্তি

মঙ্গলবারও আগের শুনানির (SSC Scam) মতো একই যুক্তি দেখায় রাজ্য সরকার। বলা হয়, লোকসভা ভোটের কাজে ব্যস্ত মুখ্যসচিব। তাই তিনি জবাব দিতে পারেননি। রাজ্যের যুক্তি শুনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বাগচী। তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলছে কি না, সেটা দেখা আদালতের কাজ। যদি দেখা যায় সেখানে কোনও বাধা আসছে, তবে তা সরানোর কাজ করতে হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দেরি করছেন। তিনি হয় এই মামলার গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। নতুবা আমাদের কি এটা ধরে নিতে হবে যে এই অভিযুক্তরা এতই প্রভাবশালী যে, রাজ্যের মুখ্যসচিবও বিচার শুরু করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না?’’  বিচারের কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যসচিবকে প্রভাবমুক্ত থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। মুখ্যসচিবকে তাঁর বিধবদ্ধ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles