মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল করা হয়েছে এসএসসি-র ২০১৬-র পুরো প্যানেল। সঠিক পদ্ধতি মেনে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছে আদালত। এর মধ্যেই যোগ্য হয়েও যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁরা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁদের দাবি, যোগ্য হয়েও কেন কিছু ভুল লোকের জন্য তাঁদের শাস্তি পেতে হবে? এই আবহে কীভাবে এসএসসির শূন্য পদগুলি পূরণ করা হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত সকলে।
কীভাবে হবে নিয়োগ
সোমবারের রায়ের পরে এই নিয়েই শুরু হয়েছে নানা ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং জল্পনা। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশের মতে, এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে সব চাকরিহারাকেই আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। অর্থাৎ, তেমনটা হলে নতুন করে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে থেকে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ-সহ সব পদ্ধতি মেনেই নতুন করে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া (SSC Scam) । যদিও এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে আইনজীবীদের একাংশের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এসএসসিকে। ঘোষিত শূন্যপদের প্রেক্ষিতে নিয়োগ হবে।নিয়োগের জন্য নতুন করে আয়োজন, মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট স্ক্যান করতে হবে। এর জন্য ওপেন টেন্ডার করতে হবে। টেন্ডারের জন্য মানদণ্ড কোন শর্তসাপেক্ষে হবে তা-ও ঘোষণা করতে হবে।
আরও পড়ুুন: "টাকা ফেরত না দিয়ে "চাকরি চোর" মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন", বার্তা দিলেন শুভেন্দু
ওএমআর পুনর্মূল্যায়ন
হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, পুরনো ওএমআর পুনর্মূল্যায়নের আর কোনও জায়গা নেই। সোমবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ যে ১৭ দফা দুর্নীতির কথা বলেছিল, তার অন্যতম অংশ হল, এসএসসির তরফে ইচ্ছাকৃত ভাবে ওএমআর শিটের আসল কপি নষ্ট করে দেওয়া। সে ক্ষেত্রে ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ এসএসসির সার্ভারে সংরক্ষিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এসএসসির সার্ভার থেকে ওই ধরনের কোনও ‘মিরর ইমেজ’ খুঁজে পায়নি।সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিট স্ক্যান করে তার ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ না করেই আসল কপি নষ্ট করেছে এসএসসি। এসএসসি আবার তথ্য জানার অধিকার আইনে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আবেদনকারীদের স্ক্যানড ওএমআর শিট দেখায়। এসএসসি জানায়, তাদের ডেটাবেস থেকেই ওগুলি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিবিআই এসএসসির সার্ভার থেকে কিছুই পায়নি। অতএব, আদালতের রায়তেই স্পষ্ট, ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের আসল কপি বা ‘মিরর ইমেজ’ পাওয়া না-গেলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours