মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চেষ্টা করেও হয়নি। বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road) অভিজাত ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis)-এর বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঢুকল ইডি (ED)। চলছে তল্লাশি।
মঙ্গলবারও আবাসনের ৬ নম্বর টাওয়ারের ৫০৩ নম্বরের ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন তদন্তাকারীরা। কিন্তু দরজা খুলতে পারা যায়নি। শেষে একটি নকল চাবি তৈরি করে, এমন একজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অনেক চেষ্টাতেও শেষে তিনি দরজা খুলতে পারেননি। ওই দিন বিষয়টি রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশকে জানিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলতে না পেরে তা ‘সিল’ করে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ফের স্থানীয় থানায় গিয়ে কথা বলে ইডি। তারপর পণ্ডিতিয়ার ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি দরজা, একটি স্টিল ও একটি কাঠের। স্টিলের দরজাটি 'মেড-ইন-চায়না'। শেষে দরজা ভেঙেই এই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেছে ইডি। এখনও পর্যন্ত ওই ফ্ল্যাটেই রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ১৮ জোড়া সোনার দুল, ১১টি সোনার বালা...! অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া সোনার পুরো তালিকা
সূত্রের খবর, প্রথমে ওই ফ্ল্যাটে সরাসরি প্রবেশ করতে পাচ্ছিলেন না ইডির আধিকারিকরা। কারণ ওই ফ্ল্যাটটি সরাসরি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নেই। আগের যেকটি ফ্ল্যাটে ইডি হানা দিয়ে ছিল সেগুলি অর্পিতার নামে ছিল। এই ফ্ল্যাটটি অন্য এক মহিলার নামে রয়েছে। এই ফ্ল্যাটের মালিকের নাম স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। তাঁর সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ইডি। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি।
যদিও, এই ফ্ল্যাটের সঙ্গে অর্পিতার ভালো যোগসূত্র রয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই আবাসনের ডেভলপারের সঙ্গে কথা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের নামে বরাদ্দ করার কথা হয়। ৫০৩ নম্বর ওই ফ্ল্যাটটি অন্য একজনের নামে হলেও তার দেখাশুনো করতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)।
আরও পড়ুন: ফের ইডি হেফাজত! ৫ অগাস্ট পর্যন্ত CGO কমপ্লেক্সের জেলেই থাকতে হবে পার্থ-অর্পিতাকে
ইডি ফ্ল্যাটে ঢোকার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার মতো অর্পিতার ‘যোগ’ থাকা এই ফ্ল্যাটেও কি মিলবে নগদ টাকা! উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours