মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (cbi) কর্তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পরেশ অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School service commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলায় আজকের ধরে পরপর তিনদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার একপ্রস্ত জেরা করার পর শুক্রবার ফের একদফা জেরা করা হয় তাঁকে। শনিবার হয় আরও একবার। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁকে জেরা করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। নিজাম প্যালেস থেকে বের হন ঘণ্টা চারেক পরে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, আগামিকাল, রবিবার ফের একবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হতে পারে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (ssc recruitment scam) মামলায় তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে মেয়ে অঙ্কিতাকে অনৈতিকভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। তার পরেও প্রথম নির্দেশে হাজিরা না দেওয়ায় পরেশ ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।
আরও পড়ুন : চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। সেদিন কয়েক ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শুক্রবার ফের জেরা করা হয় পরেশকে। এদিন প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের সামনে বসেছিলেন তিনি। যদিও নিজাম প্যালেসে তাঁকে থাকতে হয়েছিল ন’ ঘণ্টা। শনিবার ফের নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো পর্ব এদিন ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার দেওয়া বয়ানের সঙ্গে পরেশের বয়ান মিলিয়েও দেখা হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরেশ। বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে ছিলেন নীরব। তাই সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই রবিবার ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে পরেশের যোগাযোগ রয়েছে, এদিন মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা। বাম জমানার মন্ত্রী পরেশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে কোন কোন নেতার সঙ্গে কী কী বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছিল, তাও জানতে চাইতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে পরেশের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও রফা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) দাবি করেছিলেন, তিনটি শর্তে পরেশ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। প্রথম শর্ত, মেধা তালিকায় ওয়েন্টিং লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও মেয়ের চাকরি। দ্বিতীয় শর্ত, চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ এবং তৃতীয় শর্ত, কোচবিহার লোকসভার টিকিট। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই প্রথম শর্তটি নিয়ে তাঁর সত্যি সত্যিই কোনও আলোচনা হয়েছিল কিনা, রবিবার তা জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।
+ There are no comments
Add yours