মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত আট বছরে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi), সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের (Sardar Ballavbhai Patel) স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছে সরকার। গুজরাতে (Gujarat) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। তিনি বলেন, "বাপু চাইতেন গরিব, দলিত, মহিলা, আদিবাসীদের ক্ষমতায়ন। যেখানে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া তাঁদের অধিকার। আমরা মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছি। সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি।" জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং করোনা অতিমারীর সময় বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথাও এদিন মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "দেশের সেবা করার জন্য কোনও প্রচেষ্টাই আমি ছাড়িনি। এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়।"
আরও পড়ুন : গণতন্ত্র রক্ষায় মোদির অবদান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেন
২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আট বছর পূর্ণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন গুজরাতের রাজকোট জেলার আটকোট শহরে ২০০ শয্যার একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই সভায়ই তাঁর আট বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে কী কী কাজ করেছেন, তার ফিরিস্তি দেন। বলেন, "গত আট বছরে তিন কোটির বেশি পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। ১০ কোটি পরিবারকে শৌচাগার দেওয়া হয়েছে। ৯ কোটি নারীকে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ছয় কোটি পরিবারকে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত যোজনা বিমা প্রকল্পে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ।"
মোদি বলেন, "এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি দেশের দরিদ্রদের মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।" তাঁর দাবি, গত আট বছরে তাঁর সরকার দরিদ্রদের উন্নতির জন্য কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অর সব কা প্রার্থনা' মন্ত্র দিয়ে আমরা দেশের উন্নয়নে নতুন দিক নির্দেশনা করেছি।" প্রত্যেক ভারতীয়কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান
ডবল ইঞ্জিন সরকারের (Double engine government) স্বপক্ষেও এদিন ফের সাফাই গেয়েছন মোদি। বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকারের কারণে গুজরাত উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ’১৪ সালের আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। আমরা যদি কেন্দ্রে (ইউপিএ সরকারের কাছে) উন্নয়ন প্রকল্পের কোনও ফাইল পাঠাতাম, তাহলে তারা তা প্রত্যাখ্যান করত। এখন আর তা হয় না। আমাদের যে জীবনধারা বদলের প্রয়োজন রয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদি। বলেন, কারও অসুস্থ হওয়া উচিত নয়। আমাদের এমন একটা জীবনধারা তৈরি করতে হবে, যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি।
+ There are no comments
Add yours