BJP Murder: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর

সবংয়ে বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
BJP_Murder_(1)
BJP_Murder_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবং-এর বলপাইতে বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের (BJP Murder) প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সবং থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের স্ত্রী বৈশালী সামন্ত। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব মৃতের স্ত্রীকে এদিন থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করান। খুনের ঘটনায় মোট ২০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী, মৃত বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর পরিবারকে বার বার খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাদা থান পরানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, এমনটাই দাবি মৃতের স্ত্রীর। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার কাতর আকুতি-মিনতি করে তৃণমূলের হাতে-পায়ে ধরলেও তারা ছাড়েনি, উপরন্তু তাঁকে লাথি মেরে সরিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কী বললেন ভারতী ঘোষ?

থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর এদিন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন, ‘‘এই পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বার বার বলা হতে থাকে পঞ্চায়েতে যেন মনোনয়ন না করা হয়।’’ এদিন পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। তাঁর মতে, ‘‘পুলিশের কাছে বার বার নিরাপত্তার দরবার করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সবং থানা।’’ এদিন কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

কী বলছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব?

বিজেপির দাবি, সবং-এর বলপাই ৯ নম্বর অঞ্চলের বুথ সভাপতি দীপক সামন্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘ঝুলন্ত মৃতদেহ (BJP Murder) উদ্ধার হয়নি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২ মে, আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাই, তখন থেকে এঁর চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এঁর ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছি। আমাদের কাছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত আবেদনপত্র আছে। এখনও পর্যন্ত তাঁর জমি আটকে রাখা হয়েছে, চাষ করতে দেওয়া হয়নি। তিন-চার দিন আগে আমাদের নেতারা যখন ওখানে প্রচারে গিয়েছিল, তখন উনিও সেই প্রচারে ছিলেন। এরপর তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়, যদি তিনি তৃণমূলে না আসেন, তা হলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। ওনার স্ত্রীকে পর্যন্ত সাদা থান পরানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। গত ২৫ তারিখ উনার বাবা মারা গেলে দাহ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। এরপর এলাকার তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তারপরই উদ্ধার হল দেহ।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles