Sino-Indian Meet: সন্দেহ নয়, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখুন, ভারতকে বার্তা চিনের

Wang Wi: ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী
Sino-Indian_Meet
Sino-Indian_Meet

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেহ নয়, সম্পর্ক ভালো করতে একে অপরের ওপর আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। বৈঠকে এমন সম্পর্ক গড়ার কথাই শোনালেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। বুধবার চিনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াই, (Wang Wi) চিনে (China) নিযুক্ত ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত প্রদীপ কুমার রাওয়াতের (Pradeep Kumar Rawat) সঙ্গে বৈঠক করেন। 

১৪ তম ব্রিকস সামিটের (14th BRICS Summit) আগে দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই সামিটে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা উপস্থিত থাকার কথা। এবারের ব্রিকস সামিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে চিন।

আরও পড়ুন: "শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত", চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের 

চিনের বিদেশমন্ত্রী এবিষয়ে বলেন, "দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে উভয়ের এগিয়ে আসা দরকার।" চিনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও চিনের অভিন্ন স্বার্থ তাদের পার্থক্যের চেয়ে বেশি। একে অপরকে দুর্বল না করে সমর্থন করা উচিৎ। একে অপরের  বিরুদ্ধে পাহারা দেওয়ার পরিবর্তে, সহযোগিতা জোরদার করতে হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে। 

প্রতিবেশি দেশের বিদেশমন্ত্রী চারটি পয়েন্টের এজেন্ডাও জানিয়েছেন। চিন যে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছ সেগুলি হল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, চিন ও ভারত প্রতিযোগী নয় সহযোগী। চিন ও ভারত পরস্পরকে হুঁশিয়ারি দেবে না। পারস্পরিক উন্নতিতে সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে তারা যৌথভাবে মোকাবিলা করবে।

আরও পড়ুন: সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের, কী বললেন তিনি? 

এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। ইউরোপ সফরে গিয়ে এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, "চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না ভারত সরকার।" 

জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই স্পষ্ট বক্তব্যের প্রশংসা করে ওয়াং ওয়াই বলেন, "ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভারতের স্বাধীনতার ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ।" 

গত বছর ভারতের সঙ্গে চিনের ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১২,৫০০ কোটিরও বেশি হয়েছে। আগেরবারই প্রথম এই দুই দেশে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান ১০০০ কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে। তাই এইবছরের ব্রিক সম্মেলনের আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি। 

২৪ মাস আগে ভারতের সীমান্তে চিন আকস্মিক আগ্রাসন চালানোয় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাই এই বৈঠকের পর দুই দেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী রাজনৈতিক মহল।  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles