মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তিন তালাক (Triple Talaq) শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইন চালু হওয়ার পর মুসলমানদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার কমেছে ৯৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই আইন লাগু হওয়ায় উপকৃত হয়েছে মুসলমান মহিলা ও শিশুরা।” কথাগুলি বললেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
মত প্রকাশের অধিকারের পক্ষে সওয়াল
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে এক সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ওই কথাগুলি বলেন তিনি। অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল’ বোর্ড অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেরলের রাজ্যপাল বলেন, “প্রত্যেকেরই মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।” তিনি বলেন, “ল’ কমিশন মতামত চেয়েছে...এবং আমি খুব আশাবাদী যে, যেসব মতামত আসবে, কমিশন এবং সরকার সেগুলি গভীর মনোযোগ দিয়ে বিচার করবে।”
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল এমন একটি আইন, যা ভারতের প্রতিটি নাগরিকের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। ধর্ম, লিঙ্গ, উপজাতি এবং স্থানীয় প্রথা নির্বিশেষে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই আইন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ল’ কমিশন (Triple Talaq) ১৪ জুন দেশের প্রতিটি সংস্থা এবং ধর্মীয় সংগঠনের কাছে তাদের মতামত জানতে চেয়েছে। মুসলিম উওম্যান অ্যাক্ট ২০১৯-এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেরলে রাজ্যপাল। ওই আইনে তিন তালাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন না মানলে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তিন তালাককে সুপ্রিম কোর্ট অন্তঃসারশূন্য, অবৈধ এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছিল।
আরও পড়ুুন: পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিজেপির দেওয়া বুথের তালিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ জেলাশাসকদের
দেশের শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছিল, তিন তালাক কোরানের মূল নীতিরও পরিপন্থী। রাজ্যপাল বলেন, “আপনারা কি জানেন, আদালতের রায় সত্ত্বেও একদিনের জন্যও তিন তালাক (Triple Talaq) বন্ধ হয়নি।” তিনি বলেন, “তালাক নিষিদ্ধ হয়নি। এটা নিষিদ্ধ হতে পারে না। তবে তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে। এটা একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই আইন লাগু হওয়ার পরে মুসলমানদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের হার কমে গিয়েছে ৯৬ শতাংশ। এতে যে কেবল মহিলারাই উপকৃত হয়েছেন তা নয়, বেঁচে গিয়েছে সেই সব শিশুরা, বিবাহ বিচ্ছেদের জেরে যাদের ভবিষ্যৎটাই নষ্ট হতে বসেছিল।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours