মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থানার নাকের ডগায় দোকান। সেই দোকান ভেঙে সর্বস্ব লুট করে পালাল দুষ্কৃতীরা। দশমীর গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি থানা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করতে পারেনি। ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কীভাবে দোকানে লুটপাট চালাল দুষ্কৃতীরা? (Jalpaiguri)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে বিসর্জনে ব্যস্ত ছিল গোটা শহর। সেই সময়কেই কাজে লাগায় চোরের দল। ধূপগুড়ি থানা থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে বাজার। থানার উল্টোদিকে বাজার হওয়ায় হামেশাই পুলিশ কর্মীদের আনাগোনা থাকে। ফলে, বাজারের ব্যবসায়ীরা অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকতেন। কিন্তু, তারপরও থানার উল্টোদিকের দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরি করে পালাল চোরের দল। এভাবে দোকান ভেঙে সর্বস্ব লুট করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যাবে, তা ভাবতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার ব্যবসায়ী সুকুমার ঘোষের দোকান ভেঙে সমস্ত সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এই এলাকায় চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে শলাপট্টি এলাকায় দুটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এই নিয়ে তিনবার একই ঘটনা ঘটল। বার বার চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের কোনও হুঁশ নেই। তাঁদের আরও অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এমনকী তাদের রীতিমতো হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এখানে থানার এমন অবস্থা হয়ে গেছে কেউ কোনও কাজ করছে না। এই যে তিনবার চুরি হল, পুলিশ কোনও কিনারাই করছে না। আর এখানে তো অসামাজিক কাজ প্রচুর হচ্ছে। কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours