মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় দলের ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। আর এরই মধ্যে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে বড় নির্দেশ দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রাক্তন স্ত্রী। সম্মানহানি করার চেষ্টা করছেন। এমনই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন শিখর ধাওয়ান। ফলে শিখরের আবেদনে সাড়া দিয়ে আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শিখর ধাওয়ান সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে আয়েশাকে। ফলে আদালতের এই নির্দেশে নিঃসন্দেহে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে স্বস্তি দিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট।
কী ঘটেছে?
২০২০ সালের অগাস্ট থেকে শিখর ধাওয়ান ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় আলাদা থাকেন। তাঁরা ভালোবেসেই বিয়ে করছিলেন। কিন্তু ভালোবাসায় ভাঙন ধরতে বেশিদিন সময় লাগেনি। দুজনের মধ্যে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। জানা গিয়েছে, এই মামলা চলাকালীনই শিখর ধাওয়ান সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর মন্তব্য করছেন আয়েশা। এরপর শিখরের অভিযোগ, আয়েশা তাঁর মানহানির চেষ্টা করছেন। তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন আয়েশা।
এরপরেই ধাওয়ান পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আয়েশা মুখোপাধ্যায়র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানান। আদালতকে শিখর ধাওয়ান বলেন, আয়েশা মুখোপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে এমন কিছু মন্তব্য করছেন যা তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এবং মানসিকভাবে তাঁকে বিধ্বস্ত করে তুলছে। এরপর শিখরের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন দিল্লির আদালতের বিচারক হরিশ কুমার। তিনি বলেছেন, “আয়েশার নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকতেই পারে। সেই অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি রয়েছে। আয়েশা চাইলে আদালতে আসতে পারেন। কিন্তু এ ভাবে কারও সম্মানহানি করা যায় না।” আদালত আয়েশা মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করতে পারবেন না।
বিচারক বলেছেন, “শিখরের বন্ধু, আত্মীয়, সতীর্থ কারও কাছে কোনও মেসেজ পাঠাতে পারবেন না আয়েশা। সমাজমাধ্যমেও কিছু লিখতে পারবেন না তিনি। কারণ, শুধুমাত্র এক জনের অভিযোগের ভিত্তিতে কারও চরিত্রহনন করা যায় না।” বিচারক আরও নির্দেশ দিয়েছেন, “সংবাদমাধ্যমেও শিখরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারবেন না আয়েশা। কারণ, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাঁর কিছু বলার থাকলে আদালতে এসে বলতে পারেন। এর পরেও যদি শিখরের বিরুদ্ধে আয়েশা মুখ খোলেন তা হলে আদালত কড়া পদক্ষেপ নেবে।”
উল্লেখ্য, মাঠ এবং মাঠের বাইরে বছর দুয়েক ধরে একেবারেই স্বস্তিতে নেই শিখর ধাওয়ান। এই মুহূর্তে তিনি জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনাও খুবই কম। কারণ শুভমান গিল ওপেনিংয়ে তাঁর জায়গা দখল করে নিয়েছেন। ফলে এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশে ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা স্বস্তি পেলেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours