Nadir Crater: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

পশ্চিম আফ্রিকার গিনির উপকূলে প্রায় ৪০০  কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতলের ১৩০০ ফুট নীচে এই গর্তটি আবিষ্কার করেন এক বিজ্ঞানী।
2b8db55270ad2902a4_GettyImages-713781277
2b8db55270ad2902a4_GettyImages-713781277

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! ডাইনোসরের যুগের এক গর্ত পৃথিবীর বুকে আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই গর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত। এই আবিষ্কার নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গবেষক মহলে। তবে এতদিন কেন এই গর্ত কারও চোখে পড়েনি, তা নিয়েও অনেক জল্পনা শুরু হয়েছে।

একসময় পৃথিবীতে রাজত্ব করত ডাইনোসররা। কিন্তু মহাকাশ থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলা, গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কারণে ডাইনোসর সহ আরও অনেক প্রজাতির প্রাণীরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আর এইসব বিশালাকৃতির গ্রহাণু, শিলা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় একাধিক গহ্বর বা গর্ত।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন তাঁরা যে নতুন গর্তটি আবিষ্কার করেছেন, এটি ডাইনোসরের শেষ হওয়ার সময়েই সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁদের ধারণা লক্ষ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসর ধ্বংসকারী গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার পরেই এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর বুকে পড়েছিল, ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই গর্তের। এই গর্তটি আবিষ্কার করেছেন এডিনবার্গের হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক উইসডিয়ান নিকোলসন। তিনি জানিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার মধ্যে টেকটোনিক বিভাজনের উপর একটি গবেষণার জন্য ডেটা বিশ্লেষণ করার সময়, পশ্চিম আফ্রিকার গিনির উপকূলে প্রায় ৪০০  কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতলের ১৩০০ ফুট নীচে এই গর্তটি দেখতে পান। তখন তিনি এই গহ্বরটির নাম দেন নাদির ক্রেটার (Nadir Crater)।

আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

নিকোলসন পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, পাঁচ মাইল জুড়ে তৈরি গর্তটি, একটি গ্রহাণুর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই গ্রহাণুটি ডাইনোসর ধ্বংসকারী শিলার থেকে অনেকটাই ছোট। কারণ যে মহাকাশ শিলা ডাইনোসরদের হত্যা করেছিল, তা মেক্সিকো উপসাগরে পড়ে ১০০ মাইল জুড়ে চিক্সউলুব ক্রেটার (Chicxulub Crater) তৈরি করেছিল। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা অনুমান করেছেন, ১৩০০ ফুট লম্বা গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল বেগে চলছিল এবং এর শক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বিস্ফোরণের চেয়েও ১০০ গুণ বেশি ছিল। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে একটি বড় সুনামি হয়েছিল, বৃহৎ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল ও এর কম্পন নিশ্চয়ই অনেক দূর থেকেই অনুভূত হয়েছিল।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সমুদ্রের নীচে এমন গর্তের আবিষ্কার খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর ফলে তাঁরা এই গর্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ পাবে ও সমুদ্রের প্রভাবগুলির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে পারবে। তাছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চিক্সউলুব ক্রেটারের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও জানতে পারবেন তাঁরা।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles