School dropout: বাংলায় মাধ্যমিকে স্কুলছুট সব থেকে বেশি! সমীক্ষায় চিন্তার ভাঁজ শিক্ষা সংসদের কপালে

West Bengal: মেয়েদের স্কুলছুট পরিসংখ্যানেও এগিয়ে বাংলা…
School_dropu
School_dropu

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৩ লক্ষের মতো পড়ুয়া একাদশ থেকে দ্বাদশে উঠতে অসফল হয়েছেন। কিন্তু এইবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, তাঁদের ফের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সুযোগ দিতে চেয়েছে। কিন্তু ১৩ লক্ষের মধ্যে মাত্র দেড় হাজার পড়ুয়ার নাম নথি ভুক্ত করেছেন। অত্যন্ত কম রেজিস্ট্রেশন করায় চিন্তা প্রকাশ করছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পড়ুয়াদের স্কুলছুট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জাতীয় শিক্ষানীতির সফল বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১০০ নথিভুক্ত করার লক্ষ্য মাত্রা স্থির করা হয়েছে। ফলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে। আসুন জেনে নিই বাংলায় স্কুলছুটের (School dropout) পরিসংখ্যান কত?

বাংলায় ৯০ শতাংশই স্কুলছুট (School dropout)!

উচ্চ মাধ্যমিকের সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্বীকার করে নিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৩ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই স্কুলছুট (School dropout)। সংসদকর্তা বলেছেন, “চলতি বছরেই যেমন দেখা গিয়েছ, ৭০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী এবার উচ্চ মাধ্যমিকে বসেননি। তাঁরা আবার একাদশে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। যাঁরা বসছেন না, তাঁদের অধিকাংশ ড্রপ আউট। তাঁরা হয়তো কাজে যোগদান করেছেন। ছোটখাটো দোকান খুলছেন। এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” কেন্দ্রের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালে বিহারে স্কুলছুটের সংখ্যা ২০.৪৬ শতাংশ, গুজরাটে ১৭.৮৫ শতাংশ, অসমে ২০.৩ শতাংশ, অন্ধ্র প্রদেশে ১৬.৭ শতাংশ, পাঞ্জাবে ১৭.২ শতাংশ, মেঘালয়তে ২১.৭ এবং কর্ণাটকে ১৪.৬ শতাংশ। আবার রাজ্য শিক্ষা দফতরের রেকর্ড অনুসারে, মহামারীর কারণে ২০২৩ সালে মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লক্ষ কমেছে। ফলে বাকি রাজ্যের তুলনায় এই রাজ্যের অবস্থা খুব একটা আশা ব্যঞ্জক নয়।

১৮ বছরের আগেই মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে

১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী বাংলার (West Bengal) অর্ধেক মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ছাড়াই বাড়িতে রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র সরকারের একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, এই মেয়েরা তাঁদের শিক্ষা শেষ না করে বা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের কোর্স গ্রহণ করার পরিবর্তে পরিবারেই কাজ করছেন। বাংলায় যখন এই ধরনের মেয়েদের সংখ্যা প্রায় ৪৯.৯ শতাংশ (School dropout)। সারা দেশে এই সংখ্যার পরিমাণ ৪৩.৮ শতাংশ। গত বছর পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে করা মেয়েদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ এরকম ১০০ জন মেয়ের মধ্যে ৪৫ জনের ২১ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে কন্যাশ্রী প্রকল্পে, ২৫ বছর বয়সী এবং বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী পরিবারের মেয়েদের জন্য এককালীন ২৫০০০ টাকা অনুদান দিয়ে থাকে। আবার যদি কোনও মেয়ের বাবা-মা উভয়েই মারা গিয়ে থাকেন বা শারীরিকভাবে অক্ষম হন, তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা পান। মহামারী চলাকালীন, অনেক পরিবার অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোনের সামর্থ্য না থাকায় অনেক ছেলে-মেয়ে তাঁদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেক পরিবার সরকারের এককালীন অনুদানের সাহায্যে তাঁদের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন। ফলে এই দিকগুলিও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

শিক্ষকদের  বক্তব্য

রাজ্যের (West Bengal) প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড’–এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেছেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও কত জন ভিন রাজ্যে কাজে চলে যাচ্ছেন (School dropout)। একাদশ পাশ না করতে পেরে ড্রপ আউটের প্রবণতা আরও বেশি। কর্ম সংস্থান নেই, এসএসসি, পিএসসির নিয়োগ নেই। রাজ্যে চাকরি নেই।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles