মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদবী পাল নয়। বংশে কেউ কোনওদিন প্রতিমা তৈরি করেননি। তাতে কী হয়েছে? মনের মধ্যে ইচ্ছা ছিল মৃৎশিল্পী হওয়ার। পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের শিল্প সত্তাকে ফুটিয়ে তুলেছেন নদিয়ার শান্তিপুরের (Santipur) অতনু বিশ্বাস। গত চার বছর আগে বিদ্যালয়ের সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করার জন্য আগ্রহী হয়েছিলেন তিনি। যদিও তখন তিনি স্কুল ছাত্র ছিলেন। এক সময় তিনি শান্তিপুর তন্তুবাই হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন। তাঁর ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষককে। এরপর প্রধান শিক্ষকের অনুমতি মেলায় শুরু করে সরস্বতী প্রতিমা তৈরির কাজ।
কী বললেন কলেজ পড়ুয়া প্রতিমা শিল্পী? (Santipur)
প্রথম বছরই প্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের। তারপর চার বছর ধরে সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করছেন অতনু। ২০২৩ এ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এখন শান্তিপুর (Santipur) কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। কিন্তু, বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা এতটুকুও কমেনি তাঁর। এবছরও বিদ্যালয়ে তৈরি করছেন সরস্বতী প্রতিমা। তবে, অতনুর সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়েছেন অন্যান্য ছাত্ররা। এখন দিনরাত এক করে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত অতনুসহ তাঁর সহকারীরা। অতনু বলেন, আমার এই অদম্য ইচ্ছা শক্তির একটাই কারণ হচ্ছে, প্রতিমা তৈরির জন্য কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়, সেখানে শান্তিপুরেও স্বনামধন্য অনেক মৃৎশিল্পী থাকলেও তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, মৃৎ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও শুধু ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবই সম্ভব।
শিল্পীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধান শিক্ষক
অতনুর এই আত্মবিশ্বাসকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ সাহা। তিনি বলেন, ও বরাবরই শিল্পপ্রেমী। পড়াশোনাতে খুব একটা ভালো না হলেও ওর মধ্যে অদ্ভুত পাগলপনা আছে। সব থেকে বড় কথা অতনু বরাবরই খুবই বাধ্য ছেলে। প্রথমবার প্রতিমা তৈরি করে সকলের নজর কেড়েছিল। অন্যবারের মতো এবারও আমাদের স্কুলে ও প্রতিমা তৈরি করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours