মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) জেরে রাজ্য প্রশাসনের ৫ শীর্ষকর্তাকে তলব করেছে লোকসভার স্বাধিকার কমিটি। তলব করা হয়েছে— রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষকে। সেই ডাকে তাঁরা সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। বিশেষজ্ঞদের সিংহভাগের মতে, লোকসভার স্বাধিকার কমিটির এই ডাক উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। রাজ্যের যেসব শীর্ষ কর্তাদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা আইএএস কিংবা আইপিএস হওয়ায় কিছুটা হলেও টিকি বাঁধা থাকে কেন্দ্রের কাছে।
স্বাধিকার কমিটি
তাই লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ডাক অমান্য করলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে (Sandeshkhali Incident), লোকসভার স্বাধিকার কমিটির ক্ষমতা অসীম। তারা শাস্তির সুপারিশও করতে পারে। এই সুপারিশের গুরুত্বও অপরিসীম। প্রবীণ আধিকারিকদের মতে, সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ঘটনার দায় যে প্রশাসনিক কর্তারা এড়াতে পারেন না, দিল্লির ডাকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচন
দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেই প্রশাসন চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে পারেন দিল্লিতে তলব পাওয়া প্রশাসনিক কর্তারা। অতীতে নির্বাচনে এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তাদের একাংশকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। গত পাঁচ জানুয়ারি থেকে ফি সপ্তাহের আইনশৃঙ্খলা রিপোর্ট প্রতিটি জেলাকে পাঠাতে হচ্ছে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। সেই রিপোর্টের মাধ্যমে কমিশন আঁচ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা সক্রিয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের
মাঝ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ৪ মার্চ এ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। পরের দিন বেঞ্চের সদস্যরা বৈঠক করবেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। তার আগে হবে সর্বদল বৈঠক। ৬ মার্চ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের যেভাবে তলব করেছে দিল্লি, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনের (Sandeshkhali Incident) অনেকেই।
তৃণমূলের পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের দলবলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, সুন্দরী মহিলাদের রাতে ডেকে পাঠানো হত পার্টি অফিসে। তার পর চলত নির্যাতন। অভিযোগ পেয়ে সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদেরও বাধা দেওয়া হয় সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) যেতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours