মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, কংগ্রেস নেতাকে সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সব ছবি ও ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুরকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণ ও প্রতারণায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা। এরপর বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কী ঘটেছিল?
২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন, তার আগেই ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে।
কংগ্রেসের কী দাবি?
কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এর পর আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।
বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ
উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না?
অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ফলে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন সাইদুর রহমানকে।
+ There are no comments
Add yours