মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন (China) হল মৌলিক সমস্যা। এ সমস্যা কেবল ভারতের নয়, অন্যদেরও।” কথাগুলি বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে বক্তব্য রাখতে দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক আগে সবাই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতিকে উপেক্ষা করেছিল। তারাই এখন অভিযোগ করছে।”
কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)?
এই অনুষ্ঠানেই জয়শঙ্কর বলেন, “চিন একটি মৌলিক সমস্যা। কারণ এর একটি অনন্য শাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি রয়েছে। এটা কেবল ভারতের সমস্যা নয়। আজ মানুষ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছে। এর কারণ, কয়েক দশক আগে আমরা সকলেই সচেতনভাবে চিনা উৎপাদনের প্রকৃতি ও তারা যে সুবিধাগুলি ভোগ করত, সেগুলিকে উপেক্ষা করেছিলাম। তাদের সুবিধাগুলি বিবেচনা না করেই সমান প্রতিযোগিতার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল চিনকে।” বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “চিনের বিষয়ে একটা সাধারণ সমস্যা রয়েছে। আমরা বিশ্বের একমাত্র দেশ নই, যাদের চিনকে নিয়ে সমস্যা রয়েছে।”
প্রসঙ্গক্রমে এল ইউরোপ, আমেরিকা
ইউরোপ আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “ইউরোপে যান। তাদের জিজ্ঞেস করুন। আজকের দিনে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তা বিতর্কগুলোর মধ্যে কী রয়েছে? তা হল চিন। আমেরিকার দিকে তাকান। তারাও চিন নিয়েই মগ্ন এবং অনেক দিক থেকেই তা যথার্থ।” অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আপনার যখন একাধিক প্রতিবেশী থাকে, তখন কী হয়?”
আরও পড়ুন: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?
তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কগুলি সংজ্ঞা (প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক) অনুসারে খুব জটিল। তারা সবাই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থায় রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তিত হবে এবং তাদের দেশে রাজনৈতিক বিতর্কও থাকবে। আমরা প্রায়ই সেই বিতর্কগুলির কেন্দ্রে থাকব। এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা একটি বড় দেশ। আমাদের প্রত্যাশা করা উচিত, পরিকল্পনা করা উচিত এবং আমাদের নীতির মধ্যে এই প্রত্যাশা তৈরি করা উচিত যে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কে কিছু পরিবর্তন আসবে। এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন হবে স্বাভাবিকভাবে, আর কিছু হবে বাধ্যতামূলক।”
জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে (China) পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তি খুঁজে বের করতে হবে ভারতকে। ভারত সেই দিনের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে (S Jaishankar)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours