মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আইএনএস বিক্রান্তের (INS Vikrant) ডেকে উঠে কেমন লাগছিল তা ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। ট্যুইটবার্তায় আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। শনিবার বিক্রান্তের একটি ভিডিও সহ ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইটে তিনি জানান, 'আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিফলন এই আইএনএস বিক্রান্ত। যেসকল দেশ নিজেদের প্রযুক্তিতে যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে, সেই সব দেশের তালিকায় নাম লেখাল ভারতও।'
A historic day for India!
— Narendra Modi (@narendramodi) September 3, 2022
Words will not be able to describe the feeling of pride when I was on board INS Vikrant yesterday. pic.twitter.com/vBRCl308C9
কোচিন শিপইয়ার্ড, শ্রমিক ও নৌসেনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, 'স্বদেশী পদ্ধতিতে তৈরি এই জাহাজের স্টিল স্বদেশী, এই স্টিল ডিআরডিও বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন। এই জাহাজ যেন এক ভাসমান শহর। জাহাজে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, তা ৫০০০ বাড়িকে উজ্জ্বল করতে পারে। এর ফ্লাইট ডেকে দুটি ফুটবল মাঠ এঁটে যাবে।' ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইজরায়েল বিশ্বের নানা দেশ ভরতে তৈরি প্রথম এই রণতরীকে কুর্নিশ করেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ট্যুইটবার্তায় জানান এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে রাশিয়া গর্বিত।
Participated today in the commissioning of INS Vikrant by the Honourable Prime Minister Shri Narendra Modi. India’s first swadeshi aircraft carrier. A glorious moment for the country and its people. Russia is proud to be part of it.
— Denis Alipov 🇷🇺 (@AmbRus_India) September 2, 2022
Jai Vikrant!
Shano varuna! pic.twitter.com/3St6NAHAG3
এই রণতরীর দৈর্ঘ্য ১৬২ মিটার, প্রস্থ ৬২ মিটার, উচ্চতা ৫৯ মিটার। বিশালায়তন এই জায়গায় ঢুকে যেতে পারে ২টো ফুটবল মাঠও। ৩০টি যুদ্ধবিমানকে পরিচালনা করতে সক্ষম এই রণতরীতে রয়েছে ২৩০টি ঘর, একসঙ্গে থাকতে পারবেন ১৭০০ জন। বিশালাকার এই রণতরী ভারতকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর পাশে নিয়ে গেল বলে ট্যুইট করেছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত।
Congratulations, India, on commissioning #IACVikrant and joining the club of nations capable of manufacturing aircraft carriers! France looks forward to seeing 🇮🇳#INSVikrant sail together with 🇫🇷Charles de Gaulle carrier in our joint actions in the #IndoPacific. pic.twitter.com/XyRyghBhkj
— Emmanuel Lenain 🇫🇷🇪🇺 (@FranceinIndia) September 2, 2022
ভারতে বর্তমানে একটিই মাত্র অপারেশনাল বিমানবাহী রণতরী রয়েছে— আইএনএস বিক্রমাদিত্য (INS Vikramaditya)। রুশ নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজও আবার বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আইএনএস কারোয়ার (INS Karwar) ঘাঁটিতে বসে রয়েছে। জলে নামতে অন্ততপক্ষে জানুয়ারি। অন্যদিকে, চিনের বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তৃতীয়টির উদ্বোধন হয়েছে সম্প্রতি। ফলে, ভারতীয় মহাসাগরে, চিনের মোকাবিলা করতে নতুন বিমানবাহী রণতরী থাকা ভারতের কাছে কৌশলগত ও সামরিক দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলে মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মহলের দাবি, সমুদ্রপথে যদি চিন কখনও ভারতকে আক্রমণের চেষ্টা করে তবে তা ঠেকাতে ভারতের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হতে পারে বিক্রান্ত।
সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট। এছাড়া এই যুদ্ধজাহাজে বারবার জ্বালানি ভরার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থা। একবার জ্বালানি ভরলেই বিক্রান্ত যেতে পারবে প্রায় ৭ হাজার নটিক্যাল মাইল। অর্থাৎ একবারের জ্বালানিতে ভারতীয় জলসীমা দু’বার ঘুরে আসতে পারবে এই রণতরী।
+ There are no comments
Add yours