মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁথির মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ ভাবে দখল করে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিগত দিনে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থাকলেও স্থান পায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কিন্তু এবার বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন নেই পঞ্চায়েত অফিসে, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, হঠাৎ করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই কেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের (Purba Medinipur) মনে হল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর কথা।
তৃণমূলের হুমকি (Purba Medinipur)
রাজ্যের কোনও অফিসেই স্থান পায় না সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এ নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই শাসকদলের। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে, সেখানে ভারতমাতা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি টাঙানোর কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)। সেই মতো পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তিনি প্রতিকৃতিও তুলে দেন। এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূল কংগ্রেসকে অবশ্য তাদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে, যে ১৬ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না টাঙানো হলে জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পঞ্চায়েত অফিসে লাগাবেন তাঁরা।
পাল্টা কী বলছে বিজেপি (Purba Medinipur)?
বিজেপির অবশ্য দাবি, যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে, সেখানে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (Purba Medinipur) রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়েছে কি? এ নিয়ে মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমার কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘‘বিগত দিনে ওদের দখলে পঞ্চায়েত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানোর কথা মনে ছিল না! কিন্তু এখন ওদের বোধোদয় হয়েছে, এটা দেখে আমার খুব ভাল লাগছে! দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সমস্ত অফিসে থাকা উচিত। কাঁথি-১ ব্লকের কথা বলব আমি বিশেষভাবে, সেখানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর ব্যবস্থা করুক ওরা, তাহলে আমিও এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে দেব।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ
+ There are no comments
Add yours