মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ! এখানে পর বলতে নিজেদেরই দল। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে কোন জায়গায় পৌঁছেছে, তার আরও একটি উদাহরণ সামনে এল। তৃণমূলকে হারাতে এতদিন বিরোধীদের একজোট হওয়ার চিত্র সামনে এসেছে। এবার বিজেপিকে সমর্থন করল তৃণমূল। আর তার জেরে বোর্ড হাতছাড়া হয়ে গেল শাসকদলের। তৃণমূল ও নির্দলের সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বোর্ড গঠনের পরেই পঞ্চায়েতের গেটে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা কর্মী-সমর্থকরা।
কীভাবে বোর্ড এল বিজেপির হাতে?
জানা যায়, শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা মোট ২১ টি, যেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ১০টি আসনে। তৃণমূল জয়লাভ করেছিল ৯টি আসনে, একটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। আর অন্য একটি আসনে জয়লাভ করে নির্দল। যদিও পরবর্তীতে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় আরও একটি আসন বাড়ে তৃণমূলের। আজ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চলে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। তবে গোটা পঞ্চায়েত চত্বরে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। জানা যায়, ওই পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত বিজেপির প্রধান হন গোপাল ঘোষ, আর তৃণমূলের উপপ্রধান হন শিপ্রা মণ্ডল। বোর্ড গঠনের পরে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, নির্দলের জয়ী প্রার্থী ও ওই অঞ্চলের তৃণমূলের ৭ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থীর সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয় তারা। বোর্ড গঠনের পরেই বিজেপির নবনির্বাচিত প্রধান গোপাল ঘোষকে সাথে নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা।
ইতিহাস তৈরি হল, দাবি বিজেপির
অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব এও জানিয়েছেন, শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি এবার ইতিহাস গড়ল। কারণ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তেমন প্রভাব না থাকলেও ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই অঞ্চলে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব তৈরি হয়। আর মানুষ ঢেলে ভোট দেওয়াতে তারা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে পারে। তবে বিগত দিনে ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি নতুন করে বোর্ড গঠন করায় ওই পঞ্চায়েত এলাকায় কিভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সেই লক্ষ্য থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours