RSS: নারী সশক্তিকরণে জোর সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠকে, দেশজুড়ে শুরু মহিলা সম্মেলন

আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা ভারতেই দেখা যায়, মন্তব্য সঙ্ঘ নেতা মনমোহনের
Untitled_design(251)
Untitled_design(251)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী সশক্তিকরণে জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। শনিবার পুণেতে সমন্বয় বৈঠক শেষে  সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান সঙ্ঘ নেতা মনমোহন বৈদ্য। প্রসঙ্গত ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল সঙ্ঘের সমন্বয় বৈঠক, এদিন তা শেষ হয়। মোট ৩৬টি শাখা সংগঠনের ২৬৬ জন নেতা এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বিজেপির তরফে বৈঠকে যোগ দেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। শনিবার সঙ্ঘের (RSS) সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন আরএসএস-এর দুই সর্বভারতীয় পদাধিকারী সুনীল আম্বেকর এবং মনমোহন বৈদ্য। সাংবাদিক বৈঠকে সঙ্ঘের কাজের রিপোর্টও প্রকাশ করেন মনমোহন বৈদ্য। তিনি জানান, ফি বছর বাড়েছে সঙ্ঘের শাখা। ২০২০ সালে সারাদেশে শাখার সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ৪১৯ বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫৫১ তে।

নারী সশক্তিকরণে জোর

২০২৫ সালে সঙ্ঘ শতবর্ষে পদার্পণ করবে। সেই লক্ষ্যে সংগঠনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে জোর দিচ্ছে সঙ্ঘ (RSS)। ইতিমধ্যে শাখা সংগঠনগুলিও একাজে নেমে পড়েছে বলে জানান মনমোহন বৈদ্য। জানা গিয়েছে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা মহিলাদের ১১টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এনজিও-এর কর্ণধার, উকিল, ডাক্তার, প্রশাসনিক আধিকারিক, লেখিকা, গ্রামস্তরের রাজনীতিবিদ, জনজাতি সমাজের মধ্যে কার্যরত মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে। দেশজুড়ে এনিয়ে মহিলা সম্মেলনও শুরু করে দিয়েছে সঙ্ঘ (RSS)। অগাস্ট থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনগুলি চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের নানা প্রান্তে মোট ৪১১টি মহিলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। মনমোহন বৈদ্য জানান, ইতিমধ্যে ৭৩টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ সহকারে বিভিন্ন পেশার মহিলারা তাতে অংশগ্রহণ করেছেন। সঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১লাখ ২৩ হাজার মহিলা এই সম্মেলগুলিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা ভারতেই দেখা যায়

এদিন স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা আমাদের দেশের অন্যতম ভিত্তি। এখানে মনে করা হয় প্রতিটি মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের বাস। সনাতন ধর্ম বিদ্বেষী মন্তব্য যাঁরা করেন, তাঁরা জানেন না ধর্ম কী? ভারতের ধর্ম পাশ্চাত্যের রিলিজিয়নের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সনাতন ধর্ম তো সর্বত্র বিরাজমান। তাইতো লোকসভায় দেখা যায়, লেখা রয়েছে ‘ধর্মচক্রপ্রবর্তন’ এবং সুপ্রিম কোর্টে ‘যথা ধর্ম তথা জয়’।’’ সঙ্ঘ (RSS) নেতা আরও জানিয়েছেন দেশের যুব সমাজের মধ্যে স্বয়ংসেবক হওয়ার বিপুল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। প্রতিবছর ১ লাখের বেশি যুবক অনলাইনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করছেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles