মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীরা আরএসএস (RSS) করতে পারবেন না, এই বিষয়ে ৫৮ বছর আগে ১৯৬৬ সালে আদেশনামা জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। অবশেষে সেই নির্দেশকে তুলে দিল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, এর আগে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে গত ২০১৮ সালেই আবেদন করেছিল যে সরকার যেন বিষয়টি ফের বিবেচনা করে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে বলা হয়েছিল যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেন আগের সরকারি নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ সরকারি চাকরিরতরাও চান যাতে তাঁরাও দেশ গঠনের কাজে অংশ নিতে পারেন।
কী বলছেন আরএসএস-এর (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর
আরএসএস-এর সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আগের সরকার সঙ্ঘের মতো একটি গঠনমূলক সংগঠনের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে নিষেধ করেছিল সরকারি কর্মীদের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) গত ৯৯ বছর ধরে জাতির পুনর্গঠনে এবং সমাজের সেবায় নিযুক্ত রয়েছে।’’ সুনীল আম্বেকর আরও উল্লেখ করেন, ‘‘জাতীয় সুরক্ষা, ঐক্যের ক্ষেত্রে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য করার জন্য বারবার প্রশংসিত হয়েছে আরএসএস।’’
অমিত মালব্যর ট্যুইট
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ৫৮ বছর আগে করা ‘অসাংবিধানিক’ একটা নিষেধাজ্ঞা অবশেষে তুলে নিল মোদি সরকার।
The unconstitutional order issued 58 years ago, in 1966, imposing a ban on Govt employees taking part in the activities of the Rashtriya Swayamsevak Sangh has been withdrawn by the Modi Govt. The original order shouldn’t have been passed in the first place.
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 22, 2024
The ban was imposed… pic.twitter.com/Gz0Yfmftrp
১৯৬৬ সালে কংগ্রেসের সরকারের আদেশনামা
প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যাতে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারেন, সেই নির্দেশ দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। এমনকি সেই সময় আরএসএসের সঙ্গে মিটিং করা ও এমন ধরনের মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যে কোনও ধরনের আরএসএস-এর (RSS) সংষ্পর্শে না যাওয়ার ক্ষেত্রে আদেশ জারি করেছিল কংগ্রেস সরকার। পরে জনতা সরকারের আমলে এই নিষিদ্ধকরণ সাময়িকভাবে তোলা হয়েছিল। ফের ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশ পুনরায় লাগু করে। ২০০০ সালে গুজরাটের বিজেপি সরকার এই নিষেধাজ্ঞা তুলেছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours