মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা গুজরাটে (Gujarat) সাম্প্রদায়িক হিংসা বাঁধিয়েছিল, তারা উপযুক্ত শিক্ষা পেয়েছে। নিজের রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার খেদা জেলার মহুদা শহরে দলের তরফে আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দেন শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ’দের এমন শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল যে আজ বাইশ বছর রাজ্যে বিরাজ করছে শান্তি।
কংগ্রেসের আমলে...
এদিনের সমাবেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, কংগ্রেসের আমলে (১৯৯৫ সালের আগে) গুজরাটে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটত আকছার। কংগ্রেস প্রায়ই বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বর্ণের লোকজনকে উত্তেজিত করত। তার জেরে তারা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে হিংসায় জড়িয়ে পড়ত। তিনি বলেন, এভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা লাগিয়ে কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাঙ্ক শক্ত করেছে। অবিচার করেছে সমাজের একটা বড় অংশের প্রতি।
অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ভারুচে অনেক সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। কারফিউ, হিংসাও হয়েছে। বিশৃঙ্খলার কারণে গুজরাটে উন্নয়নের কোনও জায়গা ছিল না। ২০০২ সালে তারা সাম্প্রদায়িক হিংসায় লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল...। আমরা তাদের শিক্ষা দিয়েছি। আমরা তাদের জেলে ঢুকিয়েছি। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইশ বছর হয়ে গিয়েছে, আমরা একবারও কারফিউ জারি করিনি। বিজেপি এমন একটি রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজ করেছে, যেখানে ঘন ঘন সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটে টানা তিনদিন ধরে চলে হিংসার ঘটনা। ওই ঘটনায় হাজার জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ওই সময় গোধরায় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রেন। সেই ট্রেনের একটি কামরায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জাদেজা আমার জীবনে বুস্টার ডোজের মতো, কেন বললেন রিভাবা?
গুজরাট হিংসায় নাম জড়িয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই সময় তিনি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তবে হিংসার দায় থেকে মুক্ত হয়েছেন তিনি। চলতি বছরের শুরুর দিকেও ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একটি মামলায় তাঁর অব্যাহতির বিরুদ্ধে আপিল খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন হবে দু দফায়। প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ৫ তারিখে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। টানা আড়াই দশক ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours