Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

রিকেট কতটা ভয়াবহ, জানেন কি? কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করবেন? 
Rickets_Disease
Rickets_Disease

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

হাড়ের সমস্যা আর শুধু বয়সের সীমানায় আটকে থাকছে না। ভারতে অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক একাধিক হাড়ের রোগে ভোগেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। রিকেট রোগে (Rickets Disease) কাবু বহু শিশু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না হলে বহু শিশুর স্বাভাবিক জীবন যাপনে অন্তরায় তৈরি হবে।

রিকেট রোগ (Rickets Disease) কী? 

রিকেট এক ধরনের হাড়ের রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ (Rickets Disease) দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। হাত-পা বেঁকে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করার শক্তি চলে যায়। কার্যত পঙ্গু হয়ে যায় তারা।

কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Rickets Disease)? 

সম্প্রতি তেলঙ্গানার এক মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক-চিকিৎসক রিকেট নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রিকেট এক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হতে চলেছে। ৩০ শতাংশের বেশি ভারতীয় শিশু রিকেট রোগে ভুগছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছেলে। রিকেট রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছেলে। মূলত নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সিরাই এই রোগে (Rickets Disease) আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই সতর্ক না হলে মারাত্মক বিপদ হতে চলেছে।

রিকেট রোগের (Rickets Disease) উপসর্গ কী? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু উপসর্গ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় রিকেট রোগের লক্ষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হাড়ের সমস্যায় ভুগলে, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত, মা ভিটামিন ডি কিংবা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে গর্ভাবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এই হাড়ের রোগ সংক্রমিত হয়। 
শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর হাতের কবজি, পায়ের পাতার গঠন রিকেট রোগের (Rickets Disease) জানান দেয়। অস্বাভাবিক চওড়া কপাল, হাতের কবজি বেঁকে যাওয়া, পা সোজা না থাকা এবং মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার মতো লক্ষণ স্পষ্ট করে রিকেট রোগ। পাশপাশি, শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যায়।

কীভাবে মোকাবিলা হবে এই রোগ (Rickets Disease)? 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি, সচেতনতা পারে এই রোগের মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, মা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে শিশুরোগ চিকিৎসককে জানানো উচিত। তাহলে শিশুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তাতে রিকেট রোগের ঝুঁকি কমে। 
তাছাড়া, এই রোগের ঝুঁকি কমাতে, খাবারের উপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, ডিমের কুসুম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, এগুলো দেহে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি, মাল্টা, কমলালেবু, মুসুম্বি লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এগুলো শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। তাছাড়া, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে। এগুলো রিকেট (Rickets Disease) রুখতে সাহায্য করে।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles