মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশৃঙ্গ বিশিষ্ট গন্ডার (Rhino) শিকারের বিরুদ্ধে অসম সরকারের পদক্ষেপকে ভূয়সী প্রশংসা করলেন হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। প্রসঙ্গত, রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৭৭ সালের পর এই প্রথমবার যেখানে গত বছর কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে কোনও গন্ডার (Rhino) শিকার করা হয়নি।
কী বললেন হলিউড অভিনেতা
নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখছেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২১ সাল অবধি ১৯০টি শিকারের ঘটনা সামনে এসেছিল। প্রথমবার ২০২২ সালে কোনও গন্ডার (Rhino) শিকার হয়নি। ১৯৭৭ সালের পর এই প্রথম যখন কোনও গন্ডার শিকারের ঘটনা সামনে আসেনি, এরজন্য অভিনন্দন জানাই অসম সরকারকে। তাঁর আরও সংযোজন, কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে ২,২০০ টি এক শৃঙ্গবিশিষ্ট গন্ডার (Rhino) রয়েছে, যা বিশ্বে এই শ্রেণির মোট গন্ডা (Rhino) র সংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। প্রসঙ্গত, WWF তাদের একটি রিপোর্টে বলছে, বিশ্বে এই শ্রেণির বিরল গন্ডারের সংখ্যা প্রায় ৩,৭০০, অন্যদিকে, রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৩ এবং ২০১৪ সাল নাগাদ অসমে প্রতি বছর ২৭টি গন্ডার শিকার করা হয়েছিল।
গন্ডার (Rhino) শিকারের বিরুদ্ধে অসম সরকারের পদক্ষেপ
অসমের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কে একশৃঙ্গ বিশিষ্ট গন্ডার (Rhino) শিকারের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন ছিলেন বনদফতরের আধিকারিকরা। গন্ডারের (Rhino) এই শিং চোরাকারবারীরা চালান করত, অনেকে নিজের বাড়িতে সাজিয়ে রাখতে কিনত এই শিং। পরে অসম সরকার কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের নিরাপত্তা আরও বাড়ায়। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে থাকে চোরাকারবারীদের বরুদ্ধে।
চোরাচালানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশে, অসম সরকার ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে৷ অসম পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি শিকারের ঘটনা ঘটেছে, প্রতি বছর গড়ে ২৭টি করে শিকার হয়েছে৷ ২০১৫ সালে শিকার হয়েছিল ১৭টি এবং ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ১৮-তে নেমে আসে। ২০১৭ সালে ৬টি শিকারের ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৮ সালে শিকারের ঘটনা ৭টি ঘটেছিল। ২০১৯ শিকারের ঘটনা ছিল ৩টি, ২০২০ সালে ২টি এবং ২০২১ সালে একটি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours