মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) নয়া সাত দফা দাবিতে কোথাও উল্লেখ নেই আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার বিচার! এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘তবে কি জুনিয়র ডাক্তাররা ধরেই নিয়েছেন যে নির্যাতিতা বিচার পেয়ে গিয়েছেন?’’ অনেকে আবার বলছেন, ‘‘প্রথম থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড় থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা কোনও অদৃশ্য মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে সরাসরি সম্প্রচার ছাড়াই রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই মায়াজালই কি সাত দফা দাবি থেকে উধাও করে দিল নির্যাতিতার বিচার?’’ সেই মায়াজালই কি তাঁদের উস্কানি দিল বিজেপিকে আক্রমণ করতে! কারণ নজিরবিহীনভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের দাবি, কোনও রাজনৈতিক দলকে তাঁরা সংকীর্ণ স্বার্থে এই আন্দোলন (RG Kar) ব্যবহার করতে দেবেন না। এখানেও একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
ব্যাপক জন আন্দোলনকে, জুনিয়র ডাক্তারদের সংকীর্ণ প্রতিবাদে পরিণত করার চেষ্টা!
আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে যেভাবে উত্তাল হয়েছে বাংলা, সর্বস্তরের মানুষ দলমত নির্বিশেষে (তৃণমূল বাদে) রাস্তায় নেমেছেন, তাতে জন আন্দোলনে পরিণত হয়েছে আরজি কর কাণ্ড। সেখানে এই আন্দোলনকে শুধুমাত্র কি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন বলা যায়? জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) মুখে আরও শোনা গিয়েছে, ‘‘হাথরস, কাঠুয়া, উন্নাওতে যাঁরা ধর্ষকদের মালা পরিয়েছেন, তাঁরাই এ রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য আরজি কর (RG Kar) আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইছেন।’’ কিন্তু কবে কোন বিজেপি নেতা কোথায় ধর্ষকদের মালা পরিয়েছেন তার ছবি-প্রমাণ কিছু দেখাতে পারেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্ষকদের মালা পরানোর মিথ্যাচার তাঁরা করলেও বিজেপি শাসিত রাজ্যে যৌন নিগ্রহকাণ্ডে অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করার বিষয়টি তাঁরা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের সাংবাদিক বৈঠকে কামদুনি-হাঁসখালি-কালিয়াগঞ্জ কাণ্ড একবারের জন্যও উঠে আসেনি! কারণ কি সেই মায়াজাল? একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এভাবেই। ব্যাপক জন আন্দোলনকে, জুনিয়র ডাক্তারদের সংকীর্ণ প্রতিবাদে পরিণত করার লক্ষ্য়েই কি তাঁরা এতকিছু করছেন? এমন প্রশ্নও উঠছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের সাতটি দাবি
১. সরকারি হাসপাতালে থ্রেট কালচারের জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি গঠন।
২. প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারির স্নাতক পড়ুয়া এবং আবাসিক ডাক্তারদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠন।
৩. মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা।
৪. যে সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন।
৫.সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স কিংবা নজরদারি কমিটি গঠন।
৬. কলেজ কাউন্সিল, অভ্যন্তরীণ কমিটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিকে সাতদিনের ভিতর সক্রিয় করা। এরপাশাপাশি এই কমিটিগুলিতে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব রাখা।
৭. সার্ভিস রুল অনুযায়ী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বচ্ছ এবং যথাযথ বদলি নীতি কার্যকর করা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours