RG Kar Incident: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

Supreme Court: আরজি কর কাণ্ডে ‘প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা’, রাত দখলে এসে কী বললেন ‘তিলোত্তমা’র মা?...
113176424
113176424

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক মাস পার। বিচারের আশায় দিন গুনছেন নির্যাতিতার মা। আজ, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আরজি কর মামলার শুনানি। ঠিক তার আগের রাতে কলকাতায় ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন ‘তিলোত্তমা’র মা। দাবি করলেন, “এত বড় ক্রাইমের পর পুলিশ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এত মানুষ পাশে দাঁড়ানোয় কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।”

প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

‘তিলোত্তমা’র বিচারের দাবিতে রবিবার ফের রাত জেগেছিল কলকাতা। রাজপথে মানববন্ধনে সামিল হয়েছিলেন লক্ষ মানুষ। রাত যত বেড়েছে, তাপ বেড়েছে প্রতিবাদের। এদিন প্রতিবাদ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন তিলোত্তমার বাবা, মা, কাকিমা। নির্যাতিতার (RG Kar Incident) মায়ের কথায়, মেয়ের ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল। সেই ডাক্তার হতেই আরজি করে আসা। কিন্তু সেই ইচ্ছাপূরণ করতে এসে যে প্রাণটাই চলে যাবে, ভাবতে পারেননি পরিবারের কেউ। চোখের জলে ধরে আসা গলায় তাঁর দাবি, “কত কষ্টে আমার মেয়ের প্রাণটা চলে গিয়েছে। পুলিশ প্রথম থেকে অসহযোগিতা করেছে। ওরা একটু সহযোগিতা করলে আশার আলো দেখতে পেতাম। সব প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ ‘আলো নিভিয়ে’ প্রতিবাদ, কর্মসূচিতে শুধু সিইএসসি এলাকায় সামিল প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ!

বিচারের আশায় দিন গোনা

আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার রাতে আবার ভিড় চোখে পড়ে টালা থেকে টালিগঞ্জ। ধর্মতলার পাশাপাশি এদিন যাদবপুরেও সর্বাত্মক আন্দোলনের (RG Kar Incident) ভিড়ে হাজির হন তিলোত্তমার মা, বাবা। কাঁদতে কাঁদতেই তিলোত্তমার বাবা বলেন, “আমার মেয়েটার কী ক্ষমতা দেখছি! এত লোককে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। আপনাদের গলার স্বর, আমার মনের জোর অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের যা শেষ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।  এখন সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) উপর ভরসা করে আছি। আশায় আছি, বিচার পাব। সেই আশাতেই দিন গুনছি।” নির্যাতিতার কাকিমা বলেন, “আমি জীবনে আর কাকিমা ডাকটা আর শুনতে পাব না। ভাবিনি এই নিষ্ঠুর দিন অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। তাই 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', নয় 'উই ডিমান্ড জাস্টিস'। আমাদের বিচার দিতেই হবে।” 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles