RG Kar Incident: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

RG Kar: আরজি করে নির্যাতিতার দেহ সৎকারে তাড়া ছিল পুলিশের, দাবি শ্মশানকর্মীর! কী লুকোনোর চেষ্টা?
RG_Kar_Protest_(1)
RG_Kar_Protest_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভকারী চিকিৎসকরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, আরজি করে (RG Kar Incident) নির্যাতিতার মৃতদেহ ‘লুট’ করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। তদন্ত করতে পুলিশ ‘ভয়’ পাচ্ছিল, তাই এত দ্রুত দেহ সৎকার করা হয়। এবার সেই নিয়ে একই প্রশ্ন তুললেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, পানিহাটি শ্মশানে যখন মেয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সেই সময় সেখানে আরও তিনটি মৃতদেহ ছিল। কিন্তু সবকিছু থামিয়ে রেখে আগে নির্যাতিতার দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কেন এত তাড়াহুড়ো? কী লুকোত চেয়েছিল পুলিশ? ভয় ছিল দেহ থাকলে ফের ময়নাতদন্ত বা ফরেন্সিক হতে পারে, যাতে বিপদে পড়তে পারেন কেউ কেউ?

কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনার পরে প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, প্রমাণ লোপাটের জন্য প্রয়োজনের চেয়ে তাড়াহুড়ো করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মর্গে পৌঁছে দেহ আটকে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানায়, দেহ সৎকারে তাদের কোনও হাত ছিল না, যা করার করেছে মেয়েটির পরিবারই। যদিও সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা জানান, গত ৯ অগাস্ট রাতে শ্মশানে তাঁর মেয়ের দেহ দাহ করতে পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর কথায়, ‘‘শ্মশানে পৌঁছে গিয়ে আমরা দেখি, আমাদের আগে তিনটে বডি রয়েছে। কিন্তু পুলিশ আধিকারিকরা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে আমার মেয়ের দেহ আগে সৎকার করে দেয়। তখন আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না। মাথা কাজ করছিল না। ফলে সৎকারে বাধা দেওয়ার কথা মাথায় আসেনি।’’

দেহ সৎকারে পারদর্শী পুলিশ

শুধু মৃতার বাবা নন, ওইদিন দেহ সৎকারে পুলিশের তৎপরতার কথা জানিয়েছে পানিহাটি এলাকায় শ্মশানের কর্মীরাও। যে শ্মশানে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়, সেখানকার এক কর্মী ভোলানাথ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকার একটি মেয়ের মৃত্যুর খবর সকাল থেকেই চলছিল। রাত ১২টার পর লাশ শ্মশানে আনা হয়। পুলিশ আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে একটি মেয়ের লাশ আসছে এবং তার সঙ্গে বিশাল জনসমাগমও আসবে। এলাকাটি খুব জনাকীর্ণ ছিল, ১০টিরও বেশি পুলিশের গাড়ি ছিল। লোকজনের আসা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এবং যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশ দ্রুত শেষকৃত্য করার নির্দেশ দেয়। বিপুল জনসমাগম এবং পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতির মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিহতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।’’ ভোলানাথ জানান, ওই সময় শ্মশানে থাকা আরও ৩ মৃতের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশই সব ব্যবস্থা করে। স্বাভাবিক, সদ্য কন্যাহারা তা-ও অকস্মাৎ, মর্মান্তিক, বাবা-মার পক্ষে বাধা দেওয়ার মতো মানসিক জোরই ছিল না। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষিতার দেহ দখল করার অভিযোগ নতুন নয়, এর আগে মধ্যমগ্রামের এক নির্যাতিতা নাবালিকার দেহ দখল করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসন্তোষ

আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) আগেই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। নির্যাতিতার বাবার বক্তব্যে ফের প্রশ্ন উঠছে, কেন দেহ দাহ করতে এত তৎপর ছিল পুলিশ? কিছু কি লুকানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের? এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাতেও 'সন্তুষ্ট নন' মৃত চিকিৎসকের বাবা, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু যে সব সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচারের দাবি করছেন, তাঁদের তিনি জেলে ভরার চেষ্টা করছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নই। ওঁর দেওয়া কোনও ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছি।’’ 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles