মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে দেশজুড়়ে আন্দোলন চলছে। শাসক দলের অন্দরে এবার এই অন্যায় নিয়ে একের পর এক সাংসদ, মন্ত্রীরা মুখ খুলছেন। শান্তনু সেন আগেই আরজি করের চক্র নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর মেয়ের ওপর কী নির্যাতন হয়েছে তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। পাশাপাশি মমতার পুলিশ যখন আন্দোলনকারীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময় প্রকাশ্যেই আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। এবার সেই সুখেন্দু শেখরের পাশে দাঁড়ালেন সাবিনা ইয়াসমিন। রবিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনার জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ মঞ্চে এসেছিলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মুখ খুললেন তিনিও। বলা যেতে পারে, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এক এক করে বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন তৃণমূলের নেতা-সাংসদ-মন্ত্রীরা। শান্তনু-সুখেন্দুর পর এবার সাবিনাও আন্দোলনকারীদের সমর্থন করলেন। পায়ের তলার মাটি সরছে, বুঝতে পারছে মমতা সরকার। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি মন্ত্রীর (RG Kar Incident)
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সবাই সবার মতো করে আন্দোলন (RG Kar Incident) করছে, এটা এমন একটা ইস্যু সবাই সবার মতো করে বলছেন। সকলেরই দাবি বিচার হোক, আজকে সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা বিচারের দাবিতে বসে আছেন। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের বিরাট অংশ আজকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত আছে। নিশ্চয়ই তাঁরা চাইবেন, তাঁদের সহপাঠীর এই মর্মান্তিক পরিণতি ঘটিয়েছে যারা, তাদের ফাঁসি হোক। সাবিনা বলেন, ‘‘যে যার মতো থেকে বলছে আমরাও আমাদের মতো থেকে আন্দোলন করছি। এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা সাপোর্ট করছি না। আমি একজন মহিলা, আমি তা সমর্থন করতে পারি না। আমিও দুই কন্যা সন্তানের মা। আমি এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করতে পারি না। আমরা চাই, দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি হোক। এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, একটা পথ দেখাবে ভবিষ্যতে।’’ সাবিনা আরও বলেন, ‘‘কোনও মেয়ে বা কোনও মহিলা যেন ধর্ষণের শিকার না হয়। এমন একটা কড়া আইন হওয়া উচিত যাতে কেউ একবার ধর্ষণ করতে গেলে তার শরীর কাঁপে। এটা আমি মনে করি। সিবিআইকে বলব যে প্রকৃত তথ্য অবিলম্বে সামনে আসুক। কারণ, আমাদের দিদি প্রথম দিন থেকেই বলেছিলেন যে, রবিবারের মধ্যে যদি আমরা না পারি রাজ্য সরকার তাহলে আমরা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেব। ভারতবর্ষের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে বাক স্বাধীনতা দিয়েছে। সুতরাং আমি যা বলার বলছি, আরেকজন যা বলার বলবে। প্রত্যেকেরই বাক স্বাধীনতা আছে। আমি আমার বক্তব্যে অনড় আছি।’’
আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর সেই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জোড়াফুলেরই নেতা কুণাল ঘোষ। তবে এরপরেও নিজের বক্তব্য থেকে একচুলও সরছেন না বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। এবার সাবিনাও আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours