মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Incident) চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন সেমিনার হলে কারা ছিলেন? বারবার ফিরে আসছে এই প্রশ্ন। তথ্য প্রোমাণ লোপাটের চেষ্টায় সেদিন কী সেমিনার রুমে জড়ো হয়েছিল অনেক মাথা, এমন প্রশ্নও উঠছে। আরজি কর মেডিক্যালের সেমিনার হলে লাল জামা পরা ব্যক্তি এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রথম বর্ষের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীক দে। নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছে আইএমএ-র রাজ্য শাখা। যদিও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি খারিজ করে লালবাজার সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ আনিসুর রহমান। চুলের ধরন দেখে আনিসুরকে অভীক বলে মনে হচ্ছে বলে পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
কী বলছে আইএমএ
কলকাতা পুলিশের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি, এই বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য কলকাতা পুলিশকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন। প্রাথমিকভাবে আএএমএ-র দাবি খারিজ করলেও, এবিষয়ে নতুন করে আর কোনও বক্তব্য মেলেনি কলকাতা পুলিশের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখেছে, 'আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে পারি ওই ব্যক্তি অভীক দে। ৪১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কলকাতা পুলিশ বলেনি, লাল জামা পরা ব্যক্তি অভীক দে নন। অভীক দে নিজেও সামনে এসে সেমিনার হলে থাকার কথা অস্বীকার করেননি।' আইএমএ বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটির সদস্য অভীক ঘোষ বলেন, মানুষের কাছে এটা খুব পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, সেদিনকে আরজি করে ক্রাইম সিনে ঘটনা ঘটার পর বহু মানুষ ঢুকেছেন। বহু মানুষ ঢোকার জন্য নিশ্চিতভাবে সেখানে তথ্যপ্রমাণ বিকৃতি হতে বাধ্য।
পুলিশের দাবি
গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল যে আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হলের মধ্যে ওই ছবি তোলা হয়েছে। সাদা চাদর দিয়ে ঘেরা অংশের মধ্যেই তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) দেহ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে ‘ক্রাইম সিন’-এ এত লোকজন ছিলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে কলকাতা পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয় যে ওই দুটি ছবিতে যাঁদের যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের সকলেই পুলিশ বা ফরেন্সিক বিভাগের প্রতিনিধি। তাঁরা কেউ বহিরাগত নন। তবে দ্বিতীয় ছবিতে লাল জামা পরিহিত এক ব্যক্তিকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে ওই ব্যক্তি হলেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। যাঁর মাথায় মধ্যবর্তী অংশে টাক ছিল।
আরও পড়ুন: ‘বাইরে অপরাধীরা, ভয়ে নির্যাতিতারা’, ধর্ষণের মামলার বিলম্ব নিয়ে সরব রাষ্ট্রপতি
অভীক দে-এর পরিচয়
অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে সিন্ডিকেট আছে, সেটা চালায় ‘উত্তরবঙ্গ লবি’। আর অভীক সেই লবির অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি, যেভাবে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন অভীক, তা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। সার্ভিস কোটায় যাতে ভর্তি হতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। অভীক সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours