মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের ঘটনায় যেসব বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তার অন্যতম হল ময়নাতদন্ত (Post mortem) প্রক্রিয়া। অপেক্ষাকৃত কম আলোয় ও কম সময়ে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি ইচ্ছাকৃত? নাকি অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। এই আবহের মধ্যেই বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই (CBI) দফতরে ফের হাজিরা দিলেন নির্যাতিতার ময়নাতদন্তকারী দলে থাকা অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস। সেই সঙ্গে আরজি কর (RG Kar Incident) মর্গের এক কর্মীকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। তাঁদের দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এ নিয়ে পর পর তিনদিন হাজিরা দিলেন অপূর্ব বিশ্বাস। তার আগেও একবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, জানাল হাওয়া অফিস
নির্যাতিতার আগে ৭টি ময়না তদন্ত সূর্যাস্তের আগে (CBI)
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন আরজি করের (RG Kar Incident) মর্গে সাতটি ময়নাতদন্তই হয়েছিল সূর্যাস্তের আগে। শুধুমাত্র নির্যাতিতার সূর্যাস্তের পরে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের খটকা লাগছে। সূত্রের খবর, এক চিকিৎসক সূর্যাস্তের পর তাড়াহুড়ো করে ময়নাতদন্ত করার ব্যাপারে আপত্তি তুললেও তা শোনা হয়নি। ময়নাতদন্তের (RG Kar Incident) পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করা হলেও সেই ছবি বেশ আবছা রয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, সেখানে আলো প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। এই বিষয়গুলি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করা - হয়েছে ময়নাতদন্তকারী অন্যতম চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি নীরব থেকেছেন বলে খবর।
দুই ডোমকেও জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
এর আগে, ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত দু'জন ডোমও জিজ্ঞাসাবাদে যা জানিয়েছিলেন, তাতে সিবিআই (CBI) নিশ্চিত যে, সেদিন গাফিলতি হয়েছিল (RG Kar Incident)। জানা গিয়েছে, এদিন আরজি করের মর্গের 'ক্লার্ক' পর্যায়ের এক কর্মীকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের পরের পর্যবেক্ষণ লেখায় ওই কর্মীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই দিন ময়নাতদন্ত কী ভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে ওই কর্মীকে অপূর্বের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে পরস্পর বিরোধী তথ্য উঠে এসেছে এবং অপূর্বের আগের বয়ানের সঙ্গে এ দিন ওই ক্লার্কের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে বলে (RG Kar Incident) তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি। কী লুকোনোর চেষ্টা হয়েছিল? কে সত্যি বলছেন বা কে মিথ্যা বলছেন? সবটাই জানার চেষ্টা করছে সিবিআই (CBI)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours