মাধ্যম বাংলা নিউজ: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল কলকাতা। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে একটি মিছিল করে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Incident) উদ্দেশে হাঁটলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিক থেকে শুরু সাধারণ মানুষ। আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে ‘ধিক্কার পদযাত্রা’। প্রতিবাদ মিছিলে (Protest Rally) হাঁটার কথা রয়েছে অপর্ণা সেন, সোহিনী সেনগুপ্ত, পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নাহার, সুজাত ভদ্র-সহ শহরের বিশিষ্টজনদের। সময় গড়াচ্ছে যত, ততই তীব্র হচ্ছে আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন এবার ছড়িয়ে পড়ল স্কুলের চৌহদ্দিতেও।
আজ কোথা থেকে মিছিল
মঙ্গলবার, শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হবে মিছিল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে গিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। আরজি করের আন্দোলনকারী (RG Kar Incident) চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের সেই সন্দেহের কথা উড়িয়ে দেননি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। পুলিশের তরফে একটি হেল্পলাইন নম্বরের কথা জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনকারীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, যদি তাঁদের কারও উপর সন্দেহ থাকে, সেটা যেন পুলিশকে জানানো হয়। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মেডিক্যাল পড়ুয়ারা তো বটেই আন্দোলনে সামিল হন অন্য কলেজের পড়ুয়ারাও। এমনকী, দেখা যায় দিদিমণিদের পাশে নিয়ে মিছিলে হাঁটছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। বাগবাজার থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মিছিলও পৌঁছে গেল আরজি কর হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: আরজি করের অধ্যক্ষ কার নয়নের মণি? অভিযোগের পাহাড় নিয়েও টিকে গেলেন কীভাবে?
ঘরে-বাইরে চাপ
মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ, আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমেই বাংলার সীমানা ছাপিয়ে অন্য রাজ্যগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, কর্নাটক-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দিল্লি এইমসের সামনেও পোস্টার হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের। সোমবার আরজি করের (RG Kar Incident) সামনে নাগরিক মিছিল (Protest Rally) আটকে দেয় পুলিশ। কলকাতার রাস্তায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে শামিল হতে দেখা গিয়েছে কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, চৈতি ঘোষাল, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়দের। আন্দোলনকারীদের সুরেই মিছিলে যোগ দেওয়া সমাজকর্মীরা দাবি তোলেন, অবিলম্বে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে হবে। যাঁরা এর জন্য দায়ী, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে। পরিবেশ উত্তপ্ত বুঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে তদন্তের কিনারা না হলে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেবেন তিনি। কিন্তু এতদিন আরজি করে যে অরাজকতা চলছিল সে বিষয়ে নীরবই থেকেছেন মমতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours